অনিমেষ চক্রবর্তী, বড়খোলা : বড়খলা বিধানসভার শিলচর-জয়ন্তীয়া সড়কের চরম বেহাল অবস্থায় নাজেহাল হয়ে উঠেছে সাধারণ জনজীবন।
বর্তমানে জারইলতলা বটলিং প্লান্টের গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়ি চলাচল করতে না পারায় গ্যাস সরবরাহও প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কিছুদিন আগে আসাম মালা প্রকল্পের অধীনে রাস্তা কাজ শুরু করা হয়, আগের চেয়ে অল্প বড় হলেও রাস্তার মধ্যে লাল মাটি ফেলার পর রাস্তাটি বিপদজনক আকার নিয়েছে।
রাস্তার বেহাল অবস্তার কারনে গত কয়েক দিন থেকে জারইলতলা বটলিং প্লান্টের গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়িও চলাচল করতে পারছেনা।
বিষয়টি নিয়ে জারইলতলা বটলিং প্লান্টের গাড়ি চালকরা একত্রিত হয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন।
উল্লেখ্য যে শিলচর-জয়ন্তীয়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে হরীণছড়া, জারলতলা এবং বিহাড়া এলাকায় বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চলতি বর্ষার মশরুমে সড়কের পুকুর সম গর্তে বৃষ্টির জল জমে যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার জনগণ সহ বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহন চালকরা।
সড়কটির বর্তমান পরিস্থিতি এতোই জটিল আকার ধারণ করেছে যে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকগুলোও মধ্য রাস্তায় ফেঁসে যাওয়ায় বটলিং প্লান্টে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছানো বিশাল প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
এমতাবস্থায় আগামীতে এলাকার জনগণ গ্যাস পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
সড়কটি বর্তমানে এতোই বেহাল আকার নিয়েছে যে যানবাহন রাস্তার মধ্যে ফেঁসে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে চালক সহ পথচারীদের।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধীদের ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ সহ বিভিন্ন চালকরা।
এদিন গ্যাস সিলিন্ডারের চালক কাদির হুসেন, মনুজ কুমার যাদব, নজমূল হুসেন,ম নোজ গোয়ালা, রাজু নাথ, প্রদীপ দাস, পিন্টু লষ্কর ও রঞ্জন নাথ প্রমূখরা গণ আওয়াজ-এর ক্যামেরার সামনে রাস্তার এই বেহাল অবস্থা নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এই বর্ষার সময়ে আসাম মালার কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।