শিলচর : প্রাক্তন জঙ্গি সংগঠনের হুমকির মধ্যে মিজোরাম থেকে মেইতেইরা পালাতে শুরু করলে অল আসাম মণিপুরি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বরাক উপত্যকা থেকে মিজোদের নিজের নিরাপত্তার জন্য চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
কিন্তু এই আদেশ জারি করার কয়েক ঘন্টা পর সংস্থাটি একটি স্পষ্টীকরণ জারি করে বলে যে তাদের পরামর্শের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে যে কিছু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং ফেইসবুক পৃষ্ঠাগুলিতে তাদের বিবৃতিটি বারাক উপত্যকা থেকে মিজোসকে ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷
আমসু দাবী করেছে যে শুধুমাত্র মেইতেই গ্রামের মিজো মিশনারিদের তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কারণ মিজোরাম সরকারের কাজে আসামের মণিপুরীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এখন পর্যন্ত মিজো মিশনারিরা পরিবার হিসেবে মেইতেইদের মধ্যে বসবাস করে আসছে এবং আমরা চিরকাল ঐক্যবদ্ধ থাকব।
প্রাক্তন বিদ্রোহীদের একটি সংগঠন মেইতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মিজোরাম ত্যাগ করতে পরামর্শ’ দেওয়ার পর সেখান থেকে মেইতেইরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে পালাচ্ছে।
এর আগে পিএএমআরএ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে মণিপুরে জাতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার কারণে মিজো জনগণের অনুভূতি গভীরভাবে আহত হয়েছে, মণিপুরে বসবাস চালিয়ে যাওয়া মেইতি জনগণের জন্য আর নিরাপদ নয়।
বিবৃতিতে মিজোরামের মেইতেইদের নিজের নিরাপত্তার জন্য চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে রিপোর্ট অনুসারে রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সম্প্রদায়ের নেতাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে দেখা করেছেন।
এক বিবৃতিতে বলেছেন মিজোরাম পুলিশ বলেছে যে সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা মণিপুরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।
এদিকে মিজোরাম পুলিশও রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, সিনিয়র পুলিশ অফিসার এবং মাঠে থাকা সমস্ত পুলিশ কর্মীরা মিজোরামের বিভিন্ন অংশে থাকা মেইতিই মনিপুরিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে।
মণিপুর সরকার মিজোরাম ত্যাগ করতে ইচ্ছুক মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষকে ফিরে আসার সুবিধার্থে চার্টার ফ্লাইটের প্রস্তাবও দিয়েছে। দুই আদিবাসী মহিলাকে মণিপুরে নগ্ন করে কুচকাওয়াজ করার একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও প্রকাশের কয়েকদিন পরেই এই ঘটনা ঘটে।