পরিদর্শন করে অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুর, কাজটি মোটামুটি ভালই হয়েছে!
দীপন কুমার দাস, কাটিগড়া : কাটিগড়া মাদারপুরে বরাক নদীর ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই নীচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে জিও ব্যাগ!
এসডিআরএফ প্রকল্পের সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাজের গুণগত মান নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ প্রকাশ করার পর জেলা প্রশাসনের কর্তা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের কাজ পরিদর্শন করেন।
তিনশো নব্বই মিটার দীর্ঘ ভাঙন প্রতিরোধের জন্য এসডিআরএফ প্রকল্পের অধীনে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যায়ে জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই জিও ব্যাগগুলো নীচের দিকে তলিয়ে যেতে বসেছে।
বিষয়টা খতিয়ে দেখতে শনিবার প্রকল্পস্থলে ছুটে আসেন কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুর।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন জল সম্পদ বিভাগের এগজিকিউটিব ইঞ্জিনিয়ার মাজারুল ইসলাম, অ্যাসিসন্টেন্ট এগজিকিউটিব ইঞ্জিনিয়ার চানমণি সিনহা, দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের জেলা আধিকারিক শামীম আহমেদ লস্করক সহ কাটিগড়ার সার্কেল অফিসার রবার্ট টেরর।
তিনশ নব্বই মিটারের এই প্রকল্প ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুর বলেন, গত বছরের বন্যায় কাটিগড়া মাদারপুরে এই স্থানীয়টি বরাক নদীতে তলিয়ে যায়।
পরবর্তীতে জল সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তিনশ নব্বই মিটারের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়।
এসডিআরএফ থেকে যথারীতি সাড়ে চার কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর হয় এবং দিন রাত কাজ করে এই কাজ সম্পন্ন করেন বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার।
কাজ চলাকালীন জল সম্পদ বিভাগের সাথে সময়ে সময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়।
কাজটি মোটামুটি ভালই হয়েছে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুর।
এদিকে কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই জিও ব্যাগ নীচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের যে অভিযোগ এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বলে, এমন কিছু হলে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হবে মেরামত করতে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সাড়ে চার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জিও ব্যাগ।
এই কদিন আগে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এসংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পর, যে সমস্ত স্থানে জিও ব্যাগ গুলি নীচের দিকে তলিয়ে গেছে সেই স্থানে নতুন করে ফেলা হয়েছে জিও ব্যাগ।
এবার তেমন বড় ধরনের কোনও বন্যা হয়নি এর মধ্যেই যদি ব্যাগ গুলি তলিয়ে যায় তাহলে বড়সড় বন্যার আঘাতে ঠিকে থাকতে পারবে কী এই ব্যাগ? এনিয়ে স্থানীয়দের মনে দেখা দিয়েছে সংশয়।