জুলি দাস
করিমগঞ্জে, ২০ আগস্ট : শিব মন্দিরে পূজার্চনায় গিয়ে ভিনধর্মী যুবকদের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে কোনোক্রমে বাড়ি ফিরলেন মহিলারা।
এতে অনেকের শরীরে জখম লেগেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার ওয়ার্ড সদস্য মনোরঞ্জন নমঃশূদ্র, মন্দির কমিটির সভাপতি অরুন রায় সহ গ্রামের বিশিষ্টরা।
সেই সময় পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জাতকাপন-বরকতপুর জিপির ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের ব্রাহ্মণশাসন সার্বজনীন শ্রীশ্রী সন্ন্যাসী ও কালী মন্দিরে।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালীগঞ্জ পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করেছে।
ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে একটি এজাহার দায়ের করেছেন মহিলাদের পক্ষ থেকে রাধারানি রায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা সন্ন্যাসী ও কালিবাড়ি মন্দিরের পাশে থাকা অবৈধ দখলদারিদের গত ২৩ নভেম্বর সার্কল অফিসারের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ করা হয়।
শনিবার সকালে মন্দিরে পূজায় যান গ্রামের কয়েকজন মহিলা। তখন তারা দেখতে পান পাশের জমিতে কয়েকজন কৃষি কাজ করছে।
প্রশাসনের উচ্ছেদ করা জমিতে কেন কৃষি কাজ হচ্ছে, এই প্রশ্ন করেন মহিলারা।
সেই সময় মহিলাদের উপর তেড়ে আসে কয়েকজন যুবক। কটু মন্তব্য করে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলারা।
প্রাণের ভয়ে পূজা না করে পালিয়ে আসেন মহিলারা।
বিষয়টি গ্রামের বিশিষ্টদের জানালে তারা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সে সময় পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরে কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মহিলারা বিষয়টি জানালে পুলিশ মহিলাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করে।
তদন্তে ঘটনাস্থলে আসেন কালিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সেকেন্ড ইনচার্জ।
রাত নয়টা নাগাদ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেছেন রাধারানি রায়।
সেই সময় মহিলাদের সঙ্গে ছিলেন জিপির উপ-সভাপতি সজল বিশ্বাস, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি মনোরঞ্জন নমঃশূদ্র, মন্দির কমিটির সভাপতি অরুণ রায় সহ অন্যান্যরা।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। দায়েরকৃত এজাহারে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তবে আরো কয়েকজন ছিলো বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।