গুয়াহাটি : বিজেপি বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য রাজ্যের প্রবীণ বিজেপি নেতাদের ভূমিকা সম্পর্কে কথা বলার কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারকিয়া তাকে পাল্টা আঘাত করলেন।
পীযূষ বলেছেন, আমি এখন নতুন নয় আট বছরের বেশি সময় ধরে বিজেপিতে রয়েছি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও আট বছর পূর্ণ করেছেন। তাহলে আমরা কিভাবে নতুন হব?
তবে হাজারিকা স্বীকার করেছেন যে সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য সেই ব্যক্তি যিনি হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং তাকে বিজেপির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
তাই যদি কিছু ভাল হয়ে থাকে তবে তার গর্ব করা উচিত এবং যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে তবে ভট্টাচার্যকে দায় নিতে হবে।
এর আগে আসামের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা সীমানা প্রক্রিয়া বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে নিয়ে প্রবীণ বিজেপি নেতা রাজেন গোহাইর মন্তব্যে কটাক্ষ করেন।
সাংবাদিকদের আসামের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেছেন, রাজেন গোহাইর অভিযোগ রাজ্য সরকারের সীমানা প্রক্রিয়ায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ ভুল।
কারণ সীমাবদ্ধতা প্রক্রিয়ার যত্ন নেয় কেবলমাত্র ভারতের নির্বাচন কমিশন, এখানে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার এমনকি কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ নয়।
রাজেন গোহাই-এর মতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যদি সীমানা নির্ধারণ করে থাকেন তবে তাকে আসামের ‘মহানায়ক’ হিসাবে গণ্য করা উচিত। কারণ সবাই বলছে সীমানা নির্ধারণের পরে আদিবাসীদের আসন বেড়েছে।