আগরতলা : স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে ত্রিপুরা সিপাহীজলা জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম বণিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন স্ত্রী সুপর্ণা দাস।
ঘটনার পর ত্রিপুরা পুলিশের মহাপরিচালক উত্তম বণিককে সিপাহিজলা জেলার তার পদ থেকে সরিয়ে আগরতলায় পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করেন।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পুলিশ অফিসারের স্ত্রী সুপর্ণা দাস জানান, ২০১২ সালের মার্চ মাসে উত্তম বণিকের সাথে বিয়ে করেন।
বিয়ের তিন মাস পর উত্তম এবং তার মা যৌতুকের জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনও করেন।
একই বছরে তিনি একটি গাড়ির কিস্তি পরিশোধের জন্য ৫০,০০০ টাকা দাবি করেছিলেন। আমার মা উত্তমের মাকে টাকা দেন।
তবে হয়রানি থামেনি বরং আরও তীব্র হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুপর্ণা।
সুপর্ণা দাসও দাবি করেছেন যে এটি একটি পারিবারিক বিষয় ছিল তাই তিনি অন্যদের সাথে আলোচনা করা থেকে বিরত ছিলেন।
তিনি অভ্যন্তরীণভাবে এটি সমাধান করার চেষ্টাও করেছিলেন, যা দুর্ভাগ্যবশত কখনও ঘটেনি।
২০২১ সালে উত্তম একটি জমি কিনে বাড়ি তৈরির জন্য আবার টাকা দাবি করেন। এই সময় মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
ফলস্বরূপ মৌখিক গালিগালাজ এবং শারীরিক নির্যাতন করে অন্যদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এছাড়া সুপর্ণা জানান তিনি স্বামী উত্তমের ফোনে অন্যান্য মেয়েদের সাথে ছবি এবং ভিডিওও দেখেছেন, এ বিষয়ে মুখ খোললে সুনাম নষ্ট করার হুমকি দেয় বলে জানান তিনি।
এ কারণে তিনি তার তার স্বামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এফআইআর নিশ্চিত করে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী বলেছেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে পিএইচকিউতে সংযুক্ত করেছি।