জুলি দাস
করিমগঞ্জ : দক্ষিণ করিমগঞ্জের জাতকাপন-বরকতপুর জিপির ব্রাহ্মণশাসন সর্বজনীন শ্রীশ্রী সন্ন্যাসী ও কালিবাড়ি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ভিনধর্মের লোকের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচেন মহিলারা।
এরপর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের, এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরুষ-মহিলা সহ এলাকার জনগণ।
উল্লেখ্য যে, এই সংবাদ সর্ব প্রথম প্রকাশ করেছিল গণ আওয়াজ।
আক্রমণের শিকার হওয়া মহিলারা জানিয়ে ছিলেন পুজো দিতে যাওয়া মহিলাদের ভিনধর্মের লোকেরা আক্রমণ করার চেষ্টা করে।
পরে তারা গ্রামের পুরুষদের সঙ্গে নিয়ে কালীগঞ্জ ওয়াচ পোষ্টে আব্দুল শুক্কুর, নজরুল ইসলাম সহ অন্যদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
আজ এলাকাবাসী প্রথমে স্থানীয় কমিউনিটি হলে প্রথমে জড়ো পরে সন্ন্যাসীবাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মামলা করার কয়েক দিন অতিক্রান্ত হলেও অভিযুক্তদের আটক করেনি পুলিশ।
এনিয়ে গ্রামের পুরুষ মহিলারা পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ দাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তারা।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন।
তাই তারা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, করিমগঞ্জের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকৰ্ষণ করে অতিসত্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণশাসন গ্রামে প্রায় ১৩৩ বিঘা সরকারি খাস জমি রয়েছে।
ওই জমি দখল নিতে ভিনধর্মের লোকেরা চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এগারোশতি প্রখণ্ডের সভাপতি অঞ্জন দাস, সম্পাদক মাধবলাল দে, আরএসএস’র প্রচারক মিন্টু দাস।
এছাড়াও ছিলেন ওয়ার্ড সদস্য মনোরঞ্জন নমঃশুদ্র, রাধারানি রায়, চরগোলা-ঘোড়ামারা গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য নিরঞ্জন নমঃশুদ্র সহ অন্যান্যরা।