শিমলা : হিমাচল প্রদেশে এই মাসে ৩৮ হাজারের বেশি কনজেক্টিভাইটিস কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে শুধু ২৮ আগস্টে ১,৭০১ টি সংক্রমণের রিপোর্ট করা হয়েছে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মান্ডি জেলায় সর্বাধিক ৬,০৬৪টি মামলা নতিভুক্ত হয়েছে, কাংড়া জেলায় নতিভুক্ত করা হয়েছে ৫,৮৪০টি সংক্রমণ, হামিরপুরে ৫,৭৯৭টি, সোলানে ৪,০৩৩ এবং চাম্বাতে ৩,৯৪৪টি সংক্রমণ নতিভুক্ত হয়েছে।
সিরমাউর জেলায় হয়েছে ৩,৮৫৫টি কনজেক্টিভাইটিস কেস রেকর্ড করা হয়েছে, উনায় ৩,৪৭১, সিমলা ২,২০০, বিলাসপুর ১,৮৩৯টি, কুল্লু জেলায় ১,৪৪২টি এবং কিন্নরে ১৬টি নতিভুক্ত হয়েছে।
লাহৌল ও স্পিতি জেলা এখনও পর্যন্ত এই রোগ থেকে মুক্ত।
১ থেকে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে কনজেক্টিভাইটিসের ৩৮,৫২১টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর সুদেশ কুমার মোক্তা একথা জানিয়েছেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর ডাঃ গোপাল বেরি বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে কনজেক্টিভাইটিস বা চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কিছু ক্ষেত্রে চোখ লাল হওয়া, আঠালো হওয়া, জ্বালা এবং ফোলাভাব দেখায়।
তিনি বলেন, এটি একটি সাধারণ সংক্রমণ যা তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায় এবং এটি কোনও ধরনের দৃষ্টি সমস্যা সৃষ্টি করে না।
কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের জনাকীর্ণ স্থানে না যাওয়া এবং রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, চাদর ও কাপড়ের মতো জিনিসপত্র আলাদা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা অভিভাবকদের তাদের রোগে আক্রান্ত শিশুদের তিন থেকে পাঁচ দিন স্কুলে না পাঠাতেও পরামর্শ দিয়েছেন।