ব্যুরো রিপোর্ট : কাছাড় জেলাকে করিডোর করে চলছে অবৈধ পাচার বানিজ্য। অসাধু ব্যবসায়ীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে এই পাচার বাণিজ্যে।
শুক্রবার বার্মিজ সিগারেট সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতারের পর আজ ফের বার্মিজ সুপারির গাড়ী সহ দুই চালককে আটক করেছে বড়খলা পুলিশ।
বার্মিজ সুপারি নিয়ে গাড়িটি শিলচর-হাফলং সৌরাষ্ট্র মহাসড়ক ধরে বহিরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে ডিমাহাসাও জেলার দিকে যাচ্ছিল।
এভাবে প্রায়ই অবৈধ সামগ্রী জব্দ করছে বড়খলা পুলিশ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বার্মার এই অবৈধ সামগ্রীগুলো কোন পথ ধরে বালাছড়া গেইট পর্যন্ত আসছে? জিরিঘাট না লায়লাপুর?
যদি জিরিঘাট হয়ে আসে তাহলে কি এইসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জিরিঘাট এবং লক্ষিপুর পুলিশের হাত রয়েছে?
যদি লায়লাপুর হয়ে আসে তবে কি পুরো পুলিশ প্রশাসনকে হাত করে নিয়েছে এইসব ব্যবসায়িরা?
কারণ লায়লাপুর হয়ে আসলে রাস্তায় লায়লাপুর চেক গেইট, ধলাই থানা, সোনাই পুলিশ, গুংঘুর পুলিশ, রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ, সদর পুলিশ, জেলা হেডকোয়াটার, মালুগ্রাম পুলিশ, রংপুর পুলিশ এবং উধারবন্দ পুলিশকে ছুয়ে বালাছড়ায় পৌছাতে হবে।
তাই পুলিশকে তাদের ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে অথবা স্বীকার করতে হবে অবৈধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের হাত রয়েছে।
অন্যদিকে জিরিঘাট হয়ে আসলে জিরিঘাট চেকপোষ্ট, লক্ষিপুর পুলিশ, বাসকান্দি পুলিশ, রংপুর পুলিশ এবং উধারবন্দ পুলিশের বুকের উপর দিয়ে বালাছড়া টুলগেইট পর্যন্ত পৌছাচ্ছে।
তাদের যদি যোগসাজশ না থাকে তবে কিভাবে বালাছড়া টুলগেইট পর্যন্ত পৌছাচ্ছে? এব্যাপারে কি কাছাড় পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কোনদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন?
অথবা লম্বা মাসোয়ারা পাওয়ার পর কাজে গাফিলতি করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উল্লেখ্য যে শনিবার ভোরে বড়খলা থানার ওসি গৌতম কুমারের নেতৃত্বে বালাছড়া টোলগেইট থেকে AS-26 A C 0201 নম্বরের লরিতে করে পাচারের সময় ৫ কুইন্টাল বার্মিজ সুপারি সহ দুই চালককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা রসিদ আলি (২৬) ও নুর মহাম্মদ (২৪)। উভয়ই দরং জেলার বুড়ি গাঁও কপাল ভাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানাগেছে।