হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : মৃত মানুষ জীবিত হয়ে যায় এটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু উধারবন্দে এধরণের একটি ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এই আজগুবি কাণ্ডে অবাক হলেন উধারবন্দ থানার পুলিশ, যাকে মৃত ভাবা হয়েছিল তার পরিবারের লোকজন সহ ভিড় জমানো কয়েক শত মানুষ।
সোমবার বিকাল আনুমানিক তিনটার সময় উধারবন্দ দয়াপুর পয়েন্টে সড়কের উপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
অনেকেই এই মৃত ব্যক্তিকে উধারবন্দ থানার অন্তর্গত দূর্গানগর পঞ্চম খণ্ডের চান্দখিড়াবস্তীর বাসিন্দা প্রয়াত মনীন্দ্র অধিকারির ছেলে বিষ্ণু অধিকারী হিসাবে সনাক্ত করেন।
বিষয়টি উধারবন্দ থানায় জানানো হলে মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য বিষ্ণু অধিকারীর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।
ছুটে আসেন বিষ্ণু অধিকারির ছোট ভাই বিশ্বজিৎ অধিকারী, তার স্ত্রী সহ এলাকার লোকজন। সকলেই মৃতদেহটি বিষ্ণু অধিকারীর বলে সনাক্ত করেন।
মৃতদেহ সনাক্ত হওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পুলিশ ব্যবস্থা শেষ পর্যায়ে আসার সময় বিষ্ণু অধিকারীর স্ত্রী থানার পাশে একটি অটোতে বসে কান্নাকাটি করছিলেন।
তখন সময় বিকাল পাঁচটা হবে।
কিন্তু সেই সময়ই ঘটে এই আজব কাণ্ড।
বিষ্ণুর স্ত্রী হঠাৎ দেখতে পায় তার স্বামী বিষ্ণু অধিকারী সাইকেল করে উধারবন্দ ডায়েট রোডের দিক থেকে থানার সামনে আসছে।
তিনি স্বামী বিষ্ণুকে দেখতে পেয়ে অটো থেকে নেমে দৌড়ে ছুটে গিয়ে স্বামীকে আলিঙ্গন করে ধরেন।
এসব দেখে হতভম্ব হন উধারবন্দ পুলিশ সহ থানায় উপস্থিত তার পরিবারের লোকজন সহ আশপাশের মানুষ।
এরপর প্রশ্ন উঠতে থাকে যে দয়াপুর পয়েন্টে সড়কের উপর থেকে যে ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার হল তিনি কে?
দু’জনের চেহারায়ও মিল রয়েছে।
এদিকে বিষ্ণু অধিকারী সাংবাদিকদের জানান, আমি ডায়েট রোডে জিও অফিসের সামনে কাজ করতে গিয়ে ছিলাম।
কিন্তু এরই মধ্যে এতসব ঘটে গিয়েছে তা আমি জানতে পারি নি। আমার স্ত্রী আমাকে সাইকেল থেকে নামিয়ে কান্নাকাটি করার পর আমাকে সব খুলে বলে। আমি নিজেও হতবাক, সম্পূর্ণ আমার চেহার ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।