ব্যুরো রিপোর্ট, সোনাই : সোনাবাড়িঘাট সমবায় সমিতির বোর্ড অব ডিরেক্টর্স নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহন পর্ব নিয়ে বৃহষ্পতিবার তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সমিতির কার্যালয়ে।
এদিন সকাল দশ টায় শিলচর সমবায় সমিতির সিনিয়র ইন্সপেক্টর তথা রির্টানিং অফিসার সঞ্জয় কুমার বর্মন, আসিস্টান্ট রির্টানিং অফিসার নূর আহমেদ লস্কর, অবজারভার জাকির হোসেন এবং সোনাবাড়িঘাট সমবায় সমিতির সচিব হেলিম উদ্দিন মজুমদার পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহন করতে সমবায় কার্যালয়ে আসেন।
সমবায় আধিকারিকরা মনোনয়নপত্র গ্রহন শুরু করলে বিগত পাঁচ বছরের বার্ষিক সাধারন সভা গুলোতে উপস্থিত না থাকা প্রার্থীরাও মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আসেন।
কিন্তু নির্বাচনী আধিকারিকরা তাদের মনোনয়ন পত্র গ্রহন করতে অস্বীকার করে বলেন বিগত পাঁচ বছরের সাধারন সভা গুলোর অন্তত দুটিতে উপস্থিত না থাকা কোন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তারা গ্রহন করবেন না।
এতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট অযোগ্য প্রার্থীরা ঘন্টা খানেক মনোনয়ন পত্র গ্রহন পর্ব আটকে রেখে তাদের দাবি মেনে নেবার জন্য আধিকারিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
এদিকে রির্টানিং অফিসার সঞ্জয় বর্মন সমবায়ের সরকারি নির্দেশ দেখিয়ে তার ভূমিকায় অটল থাকলে শেষ পর্যন্ত অযোগ্য প্রার্থীরা রণে ভঙ্গ দেয়।
এদিন ফের মনোনয়ন গ্রহন শুরু হলে অনুসূচিত জাতির জন্য সংরক্ষিত একটিমাত্র আসনে মনোনয়ন জমা দেন শুধু দিপু দাস, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দেন রহিমা বেগম বড়ভূইয়া এবং রত্না ধর।
বারোটি সাধারন আসনে মোট ষোল জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।
এর মধ্যে একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। একটি সাধারন সভায় উপস্থিত থাকায় বাতিল হয় সাহিদ আহমেদ লস্করের মনোনয়ন।
এদিন বিকেলে হাসান জামান লস্কর, বসির উদ্দিন লস্কর এবং ময়না মিয়া নামের তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে ময়দানে থেকে যান বারো জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন আহমেদ হোসেন বড়ভূইয়া, হেলিম উদ্দিন লস্কর, আবুল হোসেন, রবিউল রহমান, আজিজুর রহমান বড়ভূইয়া, আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া, ইদর আলী, নজরুল ইসলাম লস্কর, সামসুর উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মসব্বির লস্কর, নূর ইসলাম বড়ভূইয়া এবং রাজীব উদ্দিন বড়ভূইয়া।
এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্ব শেষে রির্টানিং অফিসার সঞ্জয় কুমার বর্মন বলেন আগামী চব্বিশ সেপ্টেম্বর সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা ও বোর্ড অব ডিরেক্টর্স নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই দিন আর নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না, শুধুই বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হবে।