ব্যুরো রিপোর্ট গণআওয়াজ : আসামের মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলে আসছেন রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু কোথায়? এই প্রশ্ন আজ প্রতিটি গ্রাম থেকে উঠতে শুরু করেছে।
আজ এমন একটি জিপির জিপির চিত্র তুলে ধরব যে জিপি বিগত নির্বাচনে ভোটাররা উন্নয়নের জন্য বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
এই জিপির পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এবং দশজন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির।
জিপিটি হচ্ছে ডলু জিপি।
জিপির শতকরা নিরানব্বই জন মানুষ শ্রমজীবী, চা শ্রমিকও রয়েছেন। কিন্তু এই জিপির পাঁচটি গ্রুপে গত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাসের কোন ঘর বরাদ্ধ হয়নি।
জিপির বেশিরভাগ গ্রুপ সদস্যও শ্রমজীবী, তাদের নিজেদের গৃহও কাচা ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রুপ সদস্য থাকার পরও নিজেদের জন্য প্রদানমন্ত্রী আবাসের একটি ঘর বরাদ্ধ করতে পারছেন না।
জিপির উপ-সভাপতি রামেন্দু মাল্লা, গ্রুপ সদস্য বাদল রায় এবং সোনা বাউরিরা জানান, জনগণ তাদের উন্নয়নে কাজ করার জন্য ভোট দিয়েছে, কিন্তু সরকার পর্যাপ্ত কোন বরাদ্ধ দেয়নি।
জিপির পাঁচটি গ্রুপে প্রধানমন্ত্রী আবাসের কোন বরাদ্ধ না আসায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন প্রতিটি কাচা ঘর পাকা করা হবে, কিন্তু কোথায়?
গরীব মানুষের কাচা বাঁশের ঘর ভেঙ্গে পড়ছে, আমাদের কাছে এসে কাকুতি মিনতি করছে, আমরা তাদেরকে এগুলোও মেরামতের জন্য সাহায্য করতে পারছি না।
সরকার কোন বরাদ্ধ দিচ্ছেনা।
কেন বরাদ্ধ আসছে না এব্যাপারে বলেন, জিওটেকের জন্য মাত্র চারদিনের সময় দেওয়া হয় এই সময়ের মধ্যে জিওটেক করতে না পারার জন্য ঘর বরাদ্ধ হয়নি।
জিপির অন্য পাঁচটি গ্রুপে কিছু কিছু ঘর এসেছে, সে ব্যাপারে তারা জানান এগুলো ২০১১-র জিওটেক করা।
তারা জিপির গরীব মানুষের পাকা গৃহ নির্মাণ করে দিতে জিওটেক ছাড়া অভিলম্বে প্রধানমন্ত্রী আবাসের পর্যাপ্ত ঘর বরাদ্ধ করার দাবী জানান।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবার তারা দাঁড়াতে ইচ্ছুক কি না এব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছিল তাদের কাজ করার জন্য।
কিন্তু সরকার নানান কারনে আমাদেরকে তাদের কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে, এই পরিস্থিতিতে তাদের কাছে ভোট চাইব কোন মুখে? এই অবস্থায় কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলবেন উন্নয়ন হচ্ছে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বারোটি আসনে মুখ্যমন্ত্রী কি বিজেপিকে জয়ী করতে পারবেন?