হিবজুর রহমান বরভুইয়া : মজুরির অপেক্ষায় বাগান শ্রমিকরা। দেউলিয়া হতে চলেছে ভরাখাই চা বাগান।
৪৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়ার পথে ভরাখাই চা বাগান।
এরই মধ্যে বিল পরিশোধ না করায় বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
দু’সপ্তাহ থেকে অন্ধকারে গোটা বাগান এলাকা।
বাগানের জমি সহ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে, ইউনিয়ন ব্যাংক নোটিশ জারি করেছে।
বরাকের গুরুত্বপূর্ণ এই চা-বাগানের করুণ দশায় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, বাগান কর্তৃপক্ষ ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে অসম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল)।
বিদ্যুৎ না থাকায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ফ্যাক্টরি।
কাঁচা চা পাতা তুলে পার্শ্ববর্তী বাগানে বিক্রি করছেন বাগান কর্তৃপক্ষ।
দু’মাস থেকে মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকরা।
মজুরির আশায় প্রতিদিন কর্তৃপক্ষের দুয়ারে পা মাড়াচ্ছেন শ্রমিকরা, কিন্তু মিলছে না মজুরি।
বৃহস্পতিবারও কার্যালয়ের সামনে মজুরি পাওয়ার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা শতাধিক শ্রমিক অপেক্ষা করলেও মেলেনি কানাকড়ি।
বাগান পঞ্চায়েত জানান, তাঁরা জানতে পেরেছেন বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে এই আশায় সকাল থেকে চার শতাধিক শ্রমিক বাগান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন।
কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত কার্যালয় খুলতে কেউ আসেননি।
তাই মজুরির আশা ছেড়ে অধিকাংশ শ্রমিক নিজের সন্তানদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করতে চলে যান।
মজুরি না পাওয়ায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শ্রমিকদের কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী গ্রামে লোকের বাড়িতে কাজ করছেন।
আবার কেউ জঙ্গল থেকে শুকনো ডাল, কলার মোচা, শাক-সবজি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছেন।
এতে যে টাকা আসে তা দিয়ে দু’বেলা আহারের ব্যবস্থা করেন। অসহায় শ্রমিকদের কথায়, বাগান বন্ধ হলে তাঁদের মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।