গণআওয়াজ প্রতিবেদক : বিশ্বের বাহাত্তর কোটি বাঙালি তাদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা করছে। পৃথিবীর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
এমনকি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও এবার বত্রিশ হাজার দুর্গাপূজা হচ্ছে।
যে দেশকে ইসলামিক বলা হয়, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রীসভার এবং দলের সমস্ত কর্মীদের বাঙ্গালীদের দুর্গা পুজায় যাতে কোন অঘটন না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটল আসামে, যা অত্যান্ত দুঃখ জনক।
আসামের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন আসু এবং বীর লাচিত সেনা নামের সংগঠন বিভিন্ন পূজা পেন্ডেলে গিয়ে বাংলায় লেখা পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে।
তবে আমরা এই ঘটনায় তেমন আশ্চর্যাম্বিত হইনি এবং তার নিন্দাও করব না।
কারন পৃথিবীতে প্রতীবাদ করার স্বীকৃত এবং শ্রেষ্ঠ ভাষা হচ্ছে মৌনতা, তাই মৌন থেকেই বিডিএফ এর প্রতীবাদ করছে জানালেন মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
তিনি তাদের স্মরণ করে দিয়ে বলেন, তারা হয়ত ভুলে গেছেন- বাঙ্গালির ইতিহাস শুধু দুর্গাপূজা নয়।
বাঙ্গালির তিন তিনজন নোবেল বিজয়ী রয়েছেন, বাঙ্গালির একজন চিত্র পরিচালক অস্কার পুরস্কার প্রাপ্ত রয়েছেন।
বাঙালির নরেন্দ্র নাথ দত্ত, যিনি স্বামী বিবেকানন্দ হিসাবে স্বীকৃত, যাকে বিশ্বগুরু বলা হয়, এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেন আমি বিবেকানন্দের আদর্শ নিয়ে দেশ চালাচ্ছি।
বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় কখন অন্য ভাষা নিয়ে কোন আন্দোলন হয়নি, একবার যা হয়েছিল সেটা ছিল সরকারী পোস্টারে যাতে অন্য ভাষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বাংলাকেও রাখা হয়।
সেই সঙ্গে বিডিএফ নেতা প্রদীপ দত্তরায় আসু এবং লাচিত সেনাকে এই ঘটনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
কারণ, আসামের এক কোটি বিশ লক্ষ বাঙ্গালি এতদিন সংগঠিত ছিলনা।
এই ঘটনায় আসামের সমস্ত হিন্দু-মুসলিম বাঙালি সংগঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত থেকে ইংরেজকে তাড়াতে বাঙ্গালির অবদানের কথাও তুলে ধরেন।