ওয়াহিদূর রহমান, কলিয়াবর : ভোজপুরি সম্প্ৰদায়ের অবিচ্ছেদ্য ধৰ্মীয় উৎসৱ ছট্ পুজা। কার্ত্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সূৰ্য্য দেবতাকে এই পূজায় অৰ্ঘ্য প্ৰদান করা হয়।
বিহার সহ সারা দেশে ভোজপুরি সম্প্ৰদায়ের মানুষ নদী বা পুকুরের ঘাটে জলে নেমে শ্রদ্ধা এবং ভক্তির সঙ্গে প্রদীপ প্রজ্বলন করে ছট্ মায়ের পুজা করে আশীর্বাদ কামনা করেন।
চার দিনের এক পরিক্ৰমার পর এই পুজা সম্পন্ন হয়।
প্ৰথম দিন ব্ৰতীরা ভোরে স্নান করে ছট্ মা-কে ধ্যানের মাধ্যমে আহ্বান জানান।
ব্ৰতীরা পুরো দিন নির্জলা ব্ৰত রেখে সন্ধ্যায় রুটি, পায়স, ফল ইত্যাদি দিয়ে প্ৰসাদ বানিয়ে ছট্ মা-এর পূজা দেন।
দ্বিতীয় দিন পূজা শেষ হয়ার পর ঘরের সকলে প্ৰসাদ গ্ৰহণ করার পর ব্ৰতী প্ৰসাদ গ্রহন করেন।
তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় সূৰ্য্য দেবতাক অৰ্ঘ্য দেওয়া হয় এবং চতুৰ্থ দিনা সূৰ্য্য দেবতাকে অৰ্ঘ্য দেওয়ার পর ছট্ পূজাৰ সমাপ্তি হয়।
এই পুজায় ব্রতিরা পরিবারের সুখ-শান্তি তথা সন্তান এবং স্বামীর রক্ষার জন্য প্রার্থনা জানান।
ছট পূজা পুরোহিত ছাড়াই করা হয়।
পূজা শেষে ঘাটে স্বামীর সুরক্ষার জন্য মহিলারা ব্ৰতীদের পায়ে ধরে প্রনাম করে সিঁতিতে সিধুর দেওয়ার পরম্পরাও রয়েছে।
এছাড়াও প্রথা রয়েছে, ঘাটে মহিলারা শাড়ি পরে এবং পুরুষরা গামছ বা ধুতি পরে নৈবেদ্য নিয়ে যান।
এই পূজা কেবল উদয় হওয়া সূৰ্যকেই নয় অস্ত যাওয়া সূৰ্য্যদেবতাকে পূজা করা হয়।
সূৰ্য্যই হল সৃষ্টির মূল, সূৰ্য্য ছাড়া বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ড অচল। তাই জলে নেমে উদিত এবং অস্তমিত সূৰ্য্যকে প্ৰণাম জনায়ে পূজা করা হয়।
সূৰ্য্য দেবতাকে পূজা করা বৈজ্ঞানিক মহত্ব রয়েছে বলেও ভক্তরা দাবী করেন।
রাজ্যের অন্যান্য প্ৰান্তের সঙ্গে কলিয়াবরের ব্ৰহ্মপুত্ৰের শিলঘাটেও পরম্পরাগত ভাবে পালন করা হয়েছে এই ছট্ পুজা। ভোজপুরি সম্প্ৰদায়ের মানুষের সঙ্গে অন্যান্য হিন্দু সম্প্ৰদায়ের মানুষও এই ছট্ পূজায় অংশ নিতে দেখা গেছে।