ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : কাছাড় জেলার কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা নাদিম আছরার লস্কর ১০ মার্চ, ২০১৮ সালে কানাড়া বংশি নিধি লিমিটেড নামের বেসরকারি ব্যাংকে লোনের আবেদন করেন।
সাত লক্ষ টাকা লোনের পেতে ব্যাঙ্কের এমডি রথীন্দ্র দাস লস্করের এগ্রিমেন্টও করেন।শুধু তাই নয়, গ্রান্টি হিসাবে নাদিম ছেলের ইউনিয়ন ব্যাংকের তিনটি চেকও দেন।
এরপর তাকে দেওয়া হয়, গ্রামীন ব্যাঙ্কের সাত লক্ষ টাকার একটি চেক। তিনি এই চেক নিজের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একাউন্টে জমা করলে বাউন্স হয়।
কারণ, গ্রামীন ব্যাঙ্কের এই একাউন্টে কোন টাকাই ছিল না। এতে তিনি বুঝিতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তিনি ব্যাংকের খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ব্যাঙ্ক উধাও হয়ে গেছে। তাঁর মতো আরও অনেক মানুষকেও এই ভুয়ো ব্যাঙ্ক প্রতারণা করেছে।
এরপর তিনি ব্যাঙ্কের এমডি রতিন্দ্র দাস লস্করের নামে একটি প্রতারণার মামলা করেন।
কিন্তু, এরমধ্যেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় এক লক্ষ টাকা।
তাঁর কাছ থেকে গ্রান্টি হিসাবে যে তিনটি চেক নিয়েছিল প্রতারক রতিন্দ্র, এরমধ্যে একটি চেক দিয়ে দেবযানী সিংহের নামে তুলে নেওয়া হয় এই টাকা।
নাদিম অভিযোগ করেন, তিনি এব্যাপারে তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে সহযোগিতা চেয়েও পাননি।
এদিকে, শিলচর সদর থানায় মামলা করা হলেও, কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন ন্যায্য বিচার পাননি। তাই তিনি এবার দ্বারস্থ হন গণআওয়াজ-এর।
নাদিমের দাবী, প্রশাসন প্রতারক রতিন্দ্র দাস লস্কর এবং দেবযানী সিংহ নামের এই প্রতারকদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিক এবং তাঁর ছেলের টাকা ফেরত দিক।