ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : এআইইউডিএফ সুপ্রিমো বদর উদ্দিন আজমলের মুক্ষম চালে করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে কংগ্রেস এখন অনেকটাই বেকফুটে।
অনুসুচিত জাতি সংরক্ষণ মুক্ত হওয়ার পর থেকেই এই আসনের দিকে চোখ পড়ে শত বছরের পুরনো ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের।
কিন্তু বদরুদ্দিন নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফকে নিয়েই ছিল শংকা।
তাই এই দলকে কপোকাত করতে বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে এআইইউডিএফ সুপ্রিমোর ঘনিষ্ঠি সম্পর্কের কথা তুলে ঘুটি সাজাচ্ছিল কংগ্রেস।
এই চালে করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল এআইইউডিএফ।
এআইইউডিএফ সুপ্রিমো হাইলাকান্দি এসে মওলানাদের দ্বারস্থ হয়েও তেমনটা কাবু করতে না পেরে প্রায় নিরাশ হয়েই ফিরে যান।
কিন্তু এত সহজে যে হার মানার পাত্র নন, তা ইন্ডিয়া জোটকে বুঝাতেই ছক কষে ফের গত শুক্রবারে হাইলাকান্দি সফরে আসেন আজমল।
বাঘামারা বাই পাসের মুখ থেকে হাইলাকান্দি আময়ালা পর্যন্ত দল সুপ্রিমো আজমলকে উষ্ণ সম্বর্ধনা জানান দলের কর্মী সমর্থকরা।
কিন্তু আজমলের এই সফরকে বানচাল করতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস সমর্থকরা চুয়ায় চুয়ায়, হায় হায় এমনকি জুতা দেখিয়েও অপদস্থ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু আখেরে লাভ হয়েছে এআইইউডিএফ-এর-ই।
কারন, এর আগে এসে বুজিয়ে-সুজিয়েও মওলানাদের মন গলাতে পারেননি আজমল।
কিন্তু শুক্রবারের এই ঘটনার পর এআইইউডিএফ সুপ্রিমো আজমলের পাশে দাঁড়িয়েছে হাইলাকান্দির জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ।
কংগ্রেস সমর্থকদের আচরনের নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে জমিয়ত।
আজমল জমিয়ত উলামায়ে হিন-এর রাজ্যিক সভাপতি, তাই স্বাভাবিক কারনেই রাজনীতির উর্ধে উঠে দেখলে জমিয়তেরও আত্বসম্মানে লেগেছে।
আজমলকে এই অপদস্থ করার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন হাইলাকান্দি জেলা জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি মওলানা তাজ উদ্দিন লস্কর।
সোমবার লালা কাছিমুল উলুম মাদ্রাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সেদিনের ঘটনার নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন।
তাঁর দাবী হাইলাকান্দির ইতিহাসে কোনদিন এরকম হয়নি।
একজন ধর্মীয় সংগঠনের নেতা তথা পণ্ডিতের সঙ্গে এমন অশালীন আচরণ কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না।
আজমলকে এভাবে অশালীন কথাবার্তা, জুতো দেখানো কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না বলে জানান মাওলানা তাজ। এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা জমিয়তের সম্পাদক মাওলানা নসির আহমদ মজুমদার, সহসভাপতি মওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা ফখরুজ্জামান সহ অন্যান্যরা।