আবদুর রহমান, নিলামবাজার : বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে কালিগঞ্জে লাইনম্যান সুশেন নমশুদ্রের বিরুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করার অভিযোগ গড়ালো সাব-ডিভিশনে।
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও সেই পুরোনো ট্যাডিশন চলছে।
গ্রামাঞ্চলের সাধারণ বিদুৎ গ্রাহকদের দস্তুর মত লুট করা হচ্ছে, বিদুৎ বিলে অনিয়ম করে অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
কোনো আবদার বা অভিযোগ শোনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখানু হচ্ছে গ্রাহকদের।
দির্ঘদিন থেকেই নিলামবাজার বিদুৎ কার্যালয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ লেগেই আছে।
বতর্মানে চঞ্চল্যকর অভিযোগ হল লাইনম্যানরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে বিলের নাম করে টাকা সংগ্রহ করছেন।
অথচ এই টাকা সরকারী খাতায় জমা না করে আধিকারিকদের ম্যানাজ করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
এরকম এক গুরত্বর অভিযোগ নিয়ে এসেছেন কালিগঞ্জ নন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজিত নমশুদ্র।
তার অভিযোগ গত ১৮ ডিসেম্বর কালিগঞ্জ কাজির বাজার ফিডারের লাইনম্যান সুশেন নমশুদ্র ও কিছু লোক আসে।
লাইনম্যান সুশেন তাঁকে ৬৭৭৮ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এরপর তাঁকে বলা হয় চার হাজার টাকা দিলে পুনোরায় বিদুৎ সংযোগ।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঋণ করে এনে চার হাজার টাকা লাইনম্যানের হাতে তুলে দেন, এরপর পুনোরায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
কিন্তু লাইনম্যান তাঁকে কোন বিল দেননি, বিল চাইলে নাকি জানান মোবাইলে চার হাজার টাকার এসএমএস আসবে।
কিন্তু দীর্ঘ পনেরোদিন পরও কোনো মেসেজ না পেয়ে আজ তিনি নিলামবাজার সাব ডিভিশনের লাইনম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি এব্যাপারে উপযুক্ত বিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও করিমগঞ্জের জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।