লালা প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : নতুন সার্কুলার বাতিলের দাবিতে হাইলাকান্দি জেলার লালা শহর কাঁপল (NIOS) এনআইওএস অধিনে ডিএলএড ডিগ্রীধারীরা।
তাদের দাবী ডিএলএড ডিগ্রীধারীদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে সরকারের নতুন সার্কুলার বাতিল করতে হবে।
অন্যথায় গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা সহ আত্মহত্যার হুমকি দেন ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।
ভারত সরকারের বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে এনআইওএস-এর অধীনে দুই বছরের ডিএলএড কোর্স পাশ করে চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ ডিগ্রিধারী।
কিন্তু গত ১ জানুয়ারি হঠাৎ এক সার্কুলার জারি করে ডিএলএড ডিগ্রীধারীদের রীতিমত বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে সরকার।
এই সার্কুলার অনুসারে এনআইওএস থেকে ডিএলএড করা প্রার্থীরা শিক্ষক নিযুক্তি প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে না।
এরপর থেকে বরাক উপত্যকা সহ সমগ্র রাজ্য জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারকে মাসুল দিয়ে তারা দুই বছর বিভিন্ন স্টাডি সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ডিএলএড সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরির অপেক্ষা করছেন।
বুধবার কাছাড় এবং হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা লালা সার্কেল অফিসের সামনে এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ কার্যসূচি পালন করেন।
তারা সরকারকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জোরালো দাবি জানান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সার্কেল অফিসের বড়বাবুর কাছে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন তারা।
এদিনের প্রতিবাদি বিক্ষোভে সামিল ছিলেন গোপাল দাস, শাকিলা আক্তার, দিলোয়ার হোসেন, আজাদ খান, সুলতান লস্কর, রাজন দাস, শুক্কুর আহমেদ, আবু সাঈদ মজুমদার, আবু সুফিয়ান বড়ভাইয়া, জাকারিয়া আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও তাদের প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন এনএসইউআই-র রাজ্যিক সম্পাদক মজমুল ইসলাম লস্কর। তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিক্ষক নিযুক্তি প্রক্রিয়ায় এনআইওএসের অধীন ডিএলএড ডিগ্রীধারীদের সুযোগ না দিলে আগামীকাল থেকে দফায় দফায় আন্দোলন শুরু হবে।