ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : তারাপুর গোপাল হোমপাইপ এলাকার বরাকনদী থেকে চলছে প্রতিদিন অবৈধ বালি পাচার।
মাফিয়ারা জেসিবি লাগিয়ে দিনে-রাতে তুলছে বালি।
রাজনৈতিক দাদা এবং শিলচর ডিএফও অফিসের ছত্রছায়ায় বন মাফিয়ারা প্রতিবছর এভাবেই সরকারী কর ফাকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি বিক্রি করে আসছে।
শুকনোর মর্শুমে জেসিবি লাগিয়ে নদী খনন করে তোলা হয় বালি।
বর্ষা নামার আগে বন বিভাগের চোখের সামনে মজুমদার বাজার সহ বৃহৎ এলাকায় মজুত করা হয় প্রচুর পরিমানে এই অবৈধ বালি।
সারা বছর এগুলো বিক্রি করে মোটা টাকা পকেটে পোরে নেয় এসব বালি মাফিয়ারা।
বরাক নদীর এই অবৈধ বালি পাচার করে এলাকার বেশ কয়েকজন বন মাফিয়া কোটিপতি হয়ে উঠেছে।
কংগ্রেস সরকারের সময় থেকেই অবৈধ বালি পাচার করে আসছে তারা, আর আজ হিন্দুত্ববাদি সু-শাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিজেপি সরকারের সময়েও চলছে অবৈধ এই ব্যবসা।
শুধু বদল হয়েছে রাজনৈতিক দাদা।
যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেদিকেই পালটি খায় এই বালি মাফিয়ারা।
দীপায়ন চক্রবর্তী বিধায়ক হওয়ার পর এসব বালি মাফিয়ারা এখন আশ্রয় নিয়েছে তাঁর ছত্র ছায়ায়।
সরকারী কর ফাকি দিয়ে বালি উত্তোলন করে অবৈধ পাচার বানিজ্য চলালেও বিধায়ক দিপায়ন এবং তাঁর দলের কাছে এরাই এখন আসল সৈনিক।
বন বিভাগও ব্যবস্থা নেওয়ার মত আস্পর্দা দেখাতে পারছে না, তাই মিলিজুলি চলছে এই অবৈধ বনজ সম্পদ লুণ্ঠন।
সুত্রের খবর অনুসারে, বরাকনদী থেকে এই বালি উত্তোলনে বিধায়ক দিপায়ন এবং বিজেপির কাছাড় জেলার সাধারণ সম্পাদক অভ্রজিত চক্রবর্তীর হাত রয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির এই নেতারা আ-জীবন বিজেপি সংগঠন করে আসা কর্মীদের বঞ্চিত করে মঞ্জিল বরভুইয়া নামের এক বালি মাফিয়ার মাধ্যমে এই পাচার বানিজ্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, বিধায়ক দ্বীপায়ন এবং অভ্রজিত চক্রবর্তী এই মঞ্জিলের মাধ্যমে মাসোয়ারা আদায় করছেন।
এটাই এখন বিজেপির সুশাসন!
ক্যামেরার সামনে আসতে অনিচ্ছুক বেশ কিছু বিজেপি কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের নেতারা কংগ্রেস থেকেও বেশি সংখ্যালঘু তোষণ করছেন।
তাদের ছত্র ছায়ায় বালি মাফিয়ারা প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ গাড়ি বালি অবাধে বিক্রি করে যাচ্ছে।
এসব বালির উপর থেকে অবৈধ তকমা মুছে দিতেও আশ্রয় নেওয়া হয় কারসাজির।
সুত্রের জানানো অনুসারে, মজুত বালির অল্প কিছু বন বিভাগ দিয়ে সীজ করিয়ে কোটেশনের মাধ্যমে এই মাফিয়ারা আদায় করে নিচ্ছে পারমিট। সচেতন মহলের প্রশ্ন, ইডি- সিবিআই কেন এদের বিরুদ্ধে লাগানো হচ্ছে না?