কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার যৌন নির্যাতন এবং জমি দখলের অভিযোগে দেশব্যাপী ক্ষোভের আগুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছুল মামলা।
অ্যাডভোকেট আলখ অলোক শ্রীবাস্তব সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এসআইটি বা সিবিআই দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন৷
এই আবেদন শুধু জড়িত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিই নয় অপরাধের কথিত শিকারদের জন্য ক্ষতিপূরণেরও দাবি করে।
বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা দ্বারা নিযুক্ত একটি ছয় সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলকে এই অঞ্চল পরিদর্শন করতে শুক্রবার পুলিশ বাধা দেয়। দলটিকে রামপুরে ব্যারিকেড করা হয়।
বিজেপি প্রধান এই দলটকে অঞ্চল পরিদর্শন এবং তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগকারী মহিলাদের সাথে দেখা করতে বলেছিলেন।
বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, বাংলা ধর্ষকদের পরিচালিত সরকারের রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
সন্দেশখালিতে ক্ষমতাসীন তৃণমূল করগ্রেসের স্থানীয় নেতা শাজাহান শেখ এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মহিলারা অভিযোগ আনার পর বিজেপি নিন্দা জানিয়েছে।
মহিলারা দাবি করেছেন যে শেখ এবং তার সহযোগীরা জোরপূর্বক জমি দখল করেছে এবং তাদের যৌন নিপীড়নের শিকার করেছে। শেখের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন।
এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গভর্নর সিভি আনন্দ বোস ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের তাদের অভিযোগ স্বীকার করে ন্যায়বিচারের অন্বেষণে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন।
তিনি দলের কর্মীদের মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতায় জড়িত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ এনে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও তীব্র করে তোলেন। অভিযুক্ত শাজাহান শেখ রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগে তার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ইডি-র একটি দলের মধ্যে ঝগড়ার পর গত মাস থেকে পলাতক।