ধর্মনগর প্রতিনিধি : নির্যাতিত মহিলাদের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে সখি ওয়ান স্টপ সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
যেসব মহিলারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে বাড়ী ছাড়া হবেন, তারা পাঁচ দিন এই সেন্টারের ছাদের নিচে থাকতে পারবে।
এই পাঁচ দিন তাদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করবে স্বাস্থ্য দপ্তর, আইনগত দিক দেখবে পুলিশ প্রশাসন এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যাপারটা দেখবে মহিলার কমিশন।
অর্থাৎ একজন মহিলা একই ছাদের নিচে সরকার থেকে সব ধরনের সুবিধা পাবেন।
এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে কোন মহিলা স্থায়ীভাবে থাকতে চাইলে তারা আগরতলার সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারে থাকতে পারবেন।
এই সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, উত্তর জেলা শাসক এবং সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন।
সেন্টারের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার একের পর এক কাজ করে চলেছে।
রাজ্যে ১৮ বছরের নিচের যাদের বাবা নেই বা বাবা চলে গেছে এসব ছেলেমেয়েরা যারা পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন ৪০০ ছাত্রছাত্রীকে ৪০০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দিচ্ছে।
যাতে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারে।
৬৪ জন ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েকে তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৩ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তাছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও মহিলারা যাতে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের এবং রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রাধান্য সহকারে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া কোনমতেই আটকানো যাচ্ছে না।
এগুলো আটকাতে শুধুমাত্র সরকারি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানই যথেষ্ট নয়, রাজ্যের মানুষকে সচেতন হবে।
মন্ত্রী টিংকু বলেন, নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তেমনি সমাজের পক্ষেও বিশেষ ক্ষতিকারক। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে সমাজকে বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।