আগরতলা, ১৬ অক্টোবর : ত্রিপুরার বিজেপি মিত্রজোট আইপিএফটির আরও এক বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা পদত্যাগ পত্র তুলে দিলেন বিধানসভা অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর হাতে।
২০২৩ শের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক জোটের একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব পেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা।
কারণ আইপিএফটির পদত্যাগি বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে যে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছে সেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজকীয় বংশোদ্ভূত এবং টিপরা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা।
তাঁর আগেও বিজেপির মিত্রজোট আইপিএফটির এক বিধায়ক নিজের ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন, সেই সময়ও টিপরা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা সঙ্গে ছিলেন এবং ওই দিন বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি টিপরা মোথা পার্টিতে যোগদান করেভ।
তবে বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী পদত্যাগ পত্র গ্রহন করে বলেছেন, যেহেতু তিনি ত্রিপুরার বিধানসভার আইন ও পদ্ধতি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন, আমি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য যে প্রায় এক বছর আগে আইপিএফটি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মাও দল ছেড়ে টিপরা মোথায় যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী তাঁকে দলত্যাগ বিরোধী আইন লঙ্ঘনের কারনে বিধায়ক হিসাবে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩৬ টি এবং আইপিএফটি ৮ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, কিন্তু পদত্যাগের কারনে আইপিএফটি বিধায়কের সংখ্যা ছয়ে নেমে এসেছে।