আব্দুর রহমান, বিনোদিনী বাজার : লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে করিমগঞ্জে বিজেপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদর উদ্দিন আজমলের এআইউডিএফও জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এক কথায় করিমগঞ্জে রাজনীতি বেশ জমে উটেছে।
দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিনোদিনী জিপির বালিয়া বাজারে মঙ্গলবার এআইইউডিফ বিশাল কর্মী সভার সহ ইফতার মহফিল করেছে।
এদিন করিমগঞ্জ লোকসভার এআইইউডিএফ প্রার্থী সাহাবুল ইসলাম চৌধুরীর হাত ধরে প্রায় অর্ধ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী আনুষ্ঠানিক ভাবে এআইইউডিফ দলে যোগ দেন।
এরমধ্যে পাথারকান্দী আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি সামিম আহমেদও কংগ্রেস ছেড়ে এআইইউডিএফ দলে যোগ দেন।
সাহাবুল ইসলাম বলেন, এবারের করিমগঞ্জ আসনে এআইউডিএফের জয় নিশ্চিত।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গোটা দেশের অরাজকতা এবং অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে, এমনকি জনগণের মুল্যবান সম্পদ সরকার বেসরকারিকরণ করেছে। লুঠে নেওয়া হচ্ছে অর্থের ভান্ডারও।
জাতিগত বিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে, গণতন্ত্রকে গলা ঠিপে ধরে অন্যায় প্রতিষ্টিত করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাহাবুল চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, বিগত কিছুদিন পুর্বে শাসক দলের একজন বিধায়ক পাথারকান্দির বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের বেছে বেছে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন।
শেষ পযর্ন্ত তিনি এই উচ্ছেদিতদের নিজের ব্যক্তিগত ভুমিতে আশ্রয় দিয়েছেন। এমনকি তাদের প্রয়োজনীয় মসজিদ ও খবরস্তানের ব্যবস্তাও করে দিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে উগ্র হিন্দুরা মুসলমানদের উপর মিথ্যা মামলা করে সিয়েছেন, তাদেরকেও আইনী ভাবে সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, বতর্মান কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী আইনজীবী হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরীকে মানুষের বিপদ-আপদে পাওয়া যায়নি।
তাই বসন্তের কোকিলের কথায় কান না দিয়ে জলন্ত সমস্যা গুলো গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরে ঘরে ঘরে যেতে কর্মীদের আহ্বান জানান এআইইউডিএফ প্রার্থী পারুল চৌধুরী।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ করিমগঞ্জ আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি মওলানা নাজমুদ্দিন, আইনজীবী কামরান পাশা চৌধুরী, আশ্রাফ হোসেন, আব্দুশ সহিদ, আলম উদ্দিন, সামিম আহমেদ প্রমুখ।