নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : বাগান ম্যানেজারের স্বৈরাচারীতার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ দেখালেন জাটিঙ্গাভ্যালি বাগানের সাবাসপুর ফাঁড়ির শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা এদিন বাগান অফিসের সামনে জাটিঙ্গাভ্যালি বাগানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হায় হায়, ম্যানেজারের স্বৈরাচারীতা মানছি না মানব না ইত্যাদি শ্লোগানে বাগান এলাকা কাঁপিয়ে তুলেন।
শ্রমিকরা এদিন গণআওয়াজকে জানান, দুর্গাপূজার আগে তলব নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ হয়, এরপরে তারা ম্যানেজারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
কিন্তু ম্যানেজার ছয়জন শ্রমিককে কাজ থেকে বহিস্কার করেন, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তাদেরকে কাজে নেওয়া হচ্ছে না।
ম্যানেজারের এই স্বৈরাচারীতার শিকার ছয় শ্রমিক হলেন গোবিন্দ রী, কিরন বাউরি, রঞ্জু বাউরি, বালিকা উরাং, রিনা উরাং।
বহিষ্কৃত শ্রমিকদের মধ্যে গোবিন্দ রী হলেন বাগান পঞ্চায়েত।
এদিন শ্রমিকরা ভারতীয় কৃষক শ্রমিক মহাসমিতি কাছাড় জেলা কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
গোবিন্দ রী বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না, ম্যানেজারের কথায় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তাদেরকে ক্ষমা চাইতেও বলেছিলে।
প্রথমে শ্রমিকরা ক্ষমাও চাইতে রাজী না হলেও পরে ক্ষমা চেয়েছে।
কিন্তু ম্যানেজার তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে তাঁকেও ছাটাই করেছেন।
ম্যানেজারের স্বৈরাচারীতার শিকার হয়ে কাজ হারিয়ে শ্রমিকরা পরিবার পরিজনদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, তারা লেবার কমিশন, জেলা আয়ুক্ত এবং বিজেপির শ্রমিকনেতা রাজদীপ গোয়ালাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
কিন্তু কেউই তাদের কথায় কোন গুরুত্ব দেননি।
এবার এই অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য শ্রমিকরাও। বিক্ষোভ প্রদর্শনে সাবাসপুর ফাঁড়ি বাগানের প্রায় শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
তাদের সাফ কথা, এই ছয়জন শ্রমিককে কাজে ফিরিয়ে না নিলে তারা সবাই কাজ বয়কট করবেন, সাবাসপুর ফাঁড়ি বাগানে কোন শ্রমিক কাজ করবেন না।
এমনকি জাটিঙ্গাভ্যালি বাগেনের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এখানেও কাজ বন্ধ রাখা হবে তারা জানান।
প্রয়োজনে লোকসভা নির্বাচনে ভোটও বয়কট করবেন।
এদিকে বাগান ম্যানেজারের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি না থাকায় সেই সময় তাঁর কোন অভিমত জানা যায়নি। তবে রাতে সংবাদ লেখার সময় ফোনে এব্যাপারে তাঁর অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্ল্যানটেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী তাদেরকে কাজ থেকে ছাটাই করা হয়েছে।