নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন তারাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজু দে।
লম্বা মাসোয়ারা পাওয়ার পরও তার মোটা অংকের ঘুষ লাগে নিখোঁজ যুবতীকে উদ্ধার করতে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ উত্তাল হয়ে উঠে তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ি।
নিখোঁজ মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের যুবতি মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজু দে-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
কিন্তু তিনি তাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করেন।
অসহায় এই পরিবার দাবীমত মোটা অংকের ঘুষ না দেওয়ায় তারাপুর পুলিশ ঘটনাটির উপর কোন গুরুত্বই দেয়নি।
পরে দিশেহারা হয়ে নিখোঁজ ওই যুবতীর মা রুমা ভট্টাচার্য কাছাড়ের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন বলে জানান।
এরপর চাপের মুখে তড়িগড়ি করে অবিবাহিত যুবতীকে শাখা সিন্দুর পরিহিত অবস্থায় উদ্ধার করে তারাপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
যুবতীর মায়ের অভিযোগে, গুণময়ী রোডের বর্মণ পাড়ার দীনেশ বর্মণের ছেলে বাপ্পন বর্মণ পেশায় টুকটুক চালক তন্ত্র মন্ত্রের জালে ফেলে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিলে তার যুবতী মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হত।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ প্রায় এক ঘণ্টা তারাপুর ফাঁড়ি পুলিশ এবং অভিযোগকারীদের বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে তারাপুর এলাকা।
জানা যায়, বছর তেইশের এই যুবতী তারাপুর গুণময়ী রোড স্বস্তি পল্লীর বাসিন্দা।
গত ২৮ মার্চ যুবতিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর তারাপুর ফাঁড়ি পুলিশে পরিবারের লোকজন এজাহার দেন।
এরপর পাড়ার জীবন সন্ন্যাসী মামলাটি নিষ্পত্তি করতে মাঠে নামলে পুলিশ তদন্ত বন্ধ করে মোটা অংকের ঘোষ দাবী করে।
আজ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় আসার পর যুবতীর সাথে পরিবারের কাউকে সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়নি।
এনিয়েই ঘটে এই লংকাকাণ্ড।
যুবতীর পরিবারের লোকজন জীবন সন্ন্যাসী এবং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি রাজু দে-র বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। অন্যতায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তাদেরকে দায়ী করতে হবে হুঙ্কার দেন যুবতীর মা রুমা।