জুলি দাস, করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করল বিডিএফ। সাংবাদিককে বিজেপির এজেন্ট বলে মন্তব্য করায় সৃষ্টি হয় অশান্তির।
এনিয়ে বিডিএফ সদস্য এবং সাংবাদিকদের মধ্যে চলে তর্কযুদ্ধ ।
ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক উপত্যকার মধ্যে জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টার পর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার করিমগঞ্জেও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করল বিডিএফ।
সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তারা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করে শাসক দল বিজেপি এবং এআইইউডিএফ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবান প্রয়োগ করে।
তাদের যুক্তি বিগত ত্রিশ বছরে করিমগঞ্জে কিছুই হয়নি।
রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে আরম্ভ করে রেল পরিষেবা এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ও তারা প্রশ্ন তুলেন।
তারা এখানেই না থেমে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে বিজেপি প্রার্থীকে অকর্মন্য বলে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিতে আবেদন জানান।
ভোটের প্রাক মুহুর্তে রামকৃষ্ণ নগরে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়টি নিয়েও তারা শাসকদলের কঠোর সমালোচনা করেন।
করিমগঞ্জে কোনও ধরনের উন্নয়ন হয়নি এই মন্তব্যেও করেন বিডিএফ কর্মকর্তারা।
কিন্তু জনৈক সাংবাদিক রাস্তাঘাট সহ রেল পরিষেবার আমূল পরিবর্তনের কথা তুলে ধরতেই বিডিএফের কর্মকর্তা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন।
তারা এতোই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন যে কোনও এক সময় বৈঠকে উপস্থিত ওই সাংবাদিককে বিজেপির এজেন্ট বলে মন্তব্য করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।
প্রতুত্তরে সাংবাদিকরা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই তর্কে জড়িয়ে টেবিলে কিল-ঘুষি মেরে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে শুরু করেন বিডিএফের কর্মকর্তারা। পরে করিমগঞ্জের সাংবাদিকরা একজোট হয়ে তাদের মোকাবিলা করে সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করেন।