নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : শিলচর লোকসভায় বিকেল পাঁচটার পর কাস্টিং ভোটের পার্সেন্টেজ নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিলচর লোকসভার সাতটি বিধানসভায় সরকারী তথ্য অনুসারে শিলচর বিধানসভায় ৬৩.৯০ শতাংশ, সোনাই ৭০.০১ শতাংশ, ধলাই ৬৪.২০ শতাংশ, বড়খলা ৭০.২০ শতাংশ, কাটিগড়া ৬৪.২১ শতাংশ, উধারবন্দ ৬৩.৮০ শতাংশ এবং লক্ষীপুরে ৬২.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কিন্তু রাত ১০টায় নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই হকচকিয়ে উঠেন সচেতন মহল, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কিভাবে সম্ভব?
দেখা যায়, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিলচর বিধানসভার ৬৩.৯০ শতাংশ থেকে ১৪.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮.৫৫ শতাংশ ভোট হয়েছে।
একইভাবে লক্ষীপুরে ৬২.৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫.৯৭ শতাংশ, উধারবন্দে ৭৭.৫৩ শতাংশ, কাটিগড়ায় ৮২.৫০শতাংশ, বড়খলায় ৭৮ শতাংশ, সোনাই ৭৭.৯২ শতাংশ এবং ধলাই-এ ৬৪.২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এরপরই সচেতন মহল থেকে এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এদিন রাত ৯.৩০ পর্যন্ত ৩৪২টি ইভিএম সর্বশেষ আপডেট অনুসারে স্ট্রংরুমে জমা করার পর সরকারীভাবে ভোটের এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
তবে ভোটারদের টার্ন আউট পার্সেন্টেজ ভিন্ন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু সচেতন মহলের প্রশ্ন হল, ভোট সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়, তা সবাই জানে।
সরকারীভাবেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়, তবে যারা লাইনে থাকবেন তাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হয়, যার পরিমান ওয়ান বা টু পার্সেন্ট হতে পারে।
কিন্তু বিকেল পাঁচটার পর এত বিশাল পার্সেন্টের ভোট হল কি করে? এই প্রশ্ন তুলেন। এই একই প্রশ্ন তুলেন কাছাড় জেলা কংগ্রেসের উপ সভাপতি অশোক বৈদ্যও।
বৈদ্য বিকেল পাঁচটার পরের ভোটের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তদন্তের দাবী জানান। তিনি বলেন, যদি কারচুপি না হয় তাহলে কংগ্রেস প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
জেলা কংগ্রেস উপ সভাপতি অশোক বৈদ্যের দাবী, বিজেপির দ্বিমুখী নীতি এবং বাঙালি সেন্টিমেন্টে সচেতন হিন্দু বাঙালিরা এবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। তাঁর দাবী কংগ্রেস এবার শিলচরে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ শতাংশ হিন্দু ভোট পাবে।