নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : সিঙ্গানিয়া ফিনটেক অ্যাগ্রিবিজিনেস কনসোটরিইয়াম লিমিটেড নামের বেসরকারি সংস্থাকে তাদের অভিযোগ প্রমান করার জন্য পনেরো দিনের চরম সময়সীমা বেঁধে দিলেন সাংবাদিক সুজিত কুমার চন্দ।
আজ শিলচর প্রেসক্লাবে এলাকার সচেতন নাগরিক অমিত বর্ধন এবং সেদিন ঘটনার সময় খবর পেয়ে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক অনুপ কান্তি দাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সুজিত জানান, এখানে একটি ভুঁইফোঁড় সংস্থা অফিস খোলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে এই খবর দিয়েছিলেন অমিত বর্ধন।
এরপর তিনি তার সত্যতা যাচাই করতে একদিন গিয়েছেন, সেদিন তারা টাকা আদায়ের কোন বৈধ সরকারী নথি দেখাতে পারেনি।
পরে হোয়াটসঅ্যাপে কিছু নথি দেওয়া হয়, কিন্তু এগুলোর মধ্যেও পঁচিশ হাজার টাকার ঋণ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দু’হাজার টাকা আদায় করার সরকারী বৈধ কোন অনুজ্ঞাপত্র ছিল না।
পরে সরকারী বৈধ কোন অনুজ্ঞাপত্র দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে মহিলা বাহিনী দিয়ে অপদস্ত সহ সংবাদ পরিবেশন করলে প্রানে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।
একসময় তিনি বাধ্য হয়ে কাছাড়ের পুলিশ সুপার সহ সাংবাদিকদের ফোন করেন।
সাংবাদিক অনুপ কান্তি দাস, অমল লস্কর ,দিলিপ সিং সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে তাদের কাছে বৈধ নথি চাইলে তাদেরকেও দেখাতে ব্যর্থ হন।
এখন এই বৃহৎ প্রতারনামুলক কেলেংকারি ধামাচাপা দিতে অপবাধ ছড়াচ্ছেন বলে দাবী করে এই অপবাদের সত্যতা এবং জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের টাকা আদায়ের বৈধ সরকারী তথ্য আগামী পনেরো দিনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুজিত।
অন্যতায় তিনি মানহানি এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার জন্য মামলা করবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
অমিত বর্ধনও (কাবুল) বৈধ নতি প্রকাশ্যে না এনে পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনেন।
অনুপ দাস সেদিনের ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ডিজায়ার ফর লাইফ-এর নেত্রী গিতা পাণ্ডে এবং তার টীমের মহিলাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর সঠিক তদন্ত দাবী করেন।
তিনি দাবী করেন, সেদিন তারা পরিকল্পিতভাবে সুজিত কুমার চন্দকে ফাঁসিয়ে সাংবাদিকদের নামে বধনাম ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু আমরা যথা সময়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় তারা ব্যর্থ হয়েছে।
অনুপ বলেন, এই পুরো ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। বিষয়টি আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী সহ ই ডি, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব বিভাগ, আসাম সরকারের রাজস্ব বিভাগ, কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত, পুলিশ সুপার, আরবিআই কর্তৃপক্ষ সহ অন্যান্য বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হবে।