নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : সিঙ্গানিয়া ফিনটেক অ্যাগ্রিবিজিনেস কনসারটিয়াম লিমিটেড যে লোক ঠকানো এক ভুঁইফোঁড় সংস্থা তা ইতিমধ্যই শিলচরের একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে।
জনসধারণ লুণ্ঠনের কারচুপির জাল বুনতে যে তারা ভুল করে ফেলেছে তা আবারও প্রমাণ করলো সাংবাদিক সম্মেলন করে দেওয়া তাদের বক্তব্য।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার নামে দুহাজার টাকা করে সংগ্রহ করার বৈধতা যে তাদের কাছে নেই তাও পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলো তারা নিজেরাই।
তাই আসল ঘটনার মোড় ঘুরাতে এখন ব্যস্ত তারা।
কিন্তু সত্য উদ্ঘাটনে আমদের গণআওয়াজ-এর নাছোড়বান্দা সাংবাদিকও যে কারো চেয়ে কম নন তা বোঝা গেল তার দেওয়া সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যে।
এই ভুঁইফোঁড় সংস্থা আমাদের সাংবাদিকের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যে ছক কষেছিল তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উড়িয়ে দেন সুজিত কুমার চন্দ।
সুজিত রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করে বলেন, আমি প্রাথমিক তদন্তের পর বলেছিলাম এই সংস্থার ঋণ দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন অধিকার নেই বা বৈধতা নেই।
তাদের অবৈধ কার্যকলাপের রহস্যের পর্দা ফাঁসেই এই মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ।
সুজিত আরও বলেন, এই সংস্থার কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা দাবী করা সহ অন্যান্য যে অভিযোগ এনেছে তার প্রমান আগামী পনেরো দিনের মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরতে।
তারা যদি এই সময়সীমার মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রমান তুলে না ধরেন তাহলে একজন সাংবাদিকের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াসের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন।
সুজিত তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে তাদের উদ্দেশ্য বার্তা দেন, ১৯৯০ ইংরেজিতে মাধ্যমিক পাশ করার পর দৈনিক প্রান্তজ্যোতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক স্বর্গীয় কালা দা-র হাত ধরে সংবাদ জগতে পা রাখেন।
কয়েক বছর ডেক্স এবং ফিল্ডে কাজ করেছেন, এরপর দৈনিক শিলচর টাইমস-এ ডেক্স এবং ফিল্ডে কাজ করেছেন।
পরে বরাকভ্যালির স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে অসমীয়া দৈনিক পত্রিকা নতুন দৈনিকে কাজ করেছেন। সেই সময় এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জ্যোতিন্দ্র কুমার ভুঁইয়া।
এরপর অসমীয়া দৈনিক পত্রিকা আজি, আজির অসম, অসমীয়া খবর এবং দৈনিক জনসাধারণেও কাজ করে ২০০৬ ইংরেজিতে আরএনআই-এর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সাপ্তাহিক গণআওয়াজ পত্রিকা প্রকাশ করেন।
যার স্বত্বাধিকারী, সম্পাদক এবং প্রকাশকও তিনি নিজে।
বর্তমান ডিজিটাল যোগে ওয়েবসাইট, ইউটুব এবং সোশ্যাল মিডিয়াও চালাচ্ছি।
তাই তিনি হাস্যকর ভাষায় বলেন, যাদের নিজেদের বৈধতা নিয়ে জনতার কাঠগড়ায় তারা এখন একজন সাংবাদিকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!
এই বৃহৎ প্রতারণামুলক কেলেংকারিকে ধামাচাপা দিতে অপবাধ ছড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন সুজিত।
তিনি এই অপবাদের সত্যতা এবং জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা আদায় করার তাদের সরকারী বৈধ অনুজ্ঞাপত্র এবং ১০ হাজার টাকা দাবীর প্রমান পনেরো দিনের মধ্যে প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন। অন্যতায় তিনি মানহানি এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জন্য আরও একটি মামলা করবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।