নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : ত্রিশ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন শিলচর নির্বাচনী কার্যালয়ের প্রধান সহকারী অতসী দত্ত তরফদার।
তিনি নির্বাচনী ছাপার কাজের জন্য সুজিত কুমার চন্দ-র কাছে ৯৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেছিলেন।
এরপর সুজিত দুর্নীতি নিবারণ বিভাগের আইজিপি অনুরাগ থাংকার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাঁর নির্দেশে ন’জনের একটি টীম শিলচর আসে।
তাদের নির্দেশ অনুসারে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ প্রথম কিস্তির ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয়ে যান সুজিত। অতসী টাকা চাওয়ার পর তিনি দিয়ে দেন।
সেই এই অভিযানের সাক্ষী স্টেট ব্যাংকের একজন এসিস্টেন্ট ম্যানেজারও ছিলেন। তিনি দরজার বাহির থেকে লেনদেন প্রত্যক্ষ করছিলেন।
অতসী উৎকোচের টাকা নিজের ব্যাগে রাখার পরই সাধারণ বেশে ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতি নিবারণ শাখার কর্মকর্তাদের ইশারা দেওয়া হয়।
তারা ছুটে এসে অতসীর হাত উপুর করে ধরে রাখেন। পরে জল এনে তাঁর হাত বিজানোর পর প্রমান পাওয়া যায় তিনি টাকা নিয়েছেন।
এরপর তাঁর ব্যাগ থেকে এই টাকা সহ আরও টাকা উদ্ধার করা হয়।কিন্তু এরপর থেকে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেন জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ের আধিকারিকরা।
এমনকি এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বিভাগীয় ফাইলবন্ধি করে পেরলে মুক্তি এবং পুনরায় চাকরীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
আর না হলে জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ের আরও বড় বড় রাঘব বোয়ালদের মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয় ছিল।
সুজিত এরপর কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত এবং আসাম সরকারের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে সহায়তা করার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
সরকারী অবহেলায় আজও এই মামলা অতল গহব্বরে পড়ে রয়েছে।
কিন্তু কাছাড়ের বর্তমান জেলা আয়ুক্ত রোহণ কুমার ঝা এই চাপা পড়া ফাইল আবার খুলেছেন বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে।
অতসীকে কাঠিগড়া সার্কেল অফিসে বদলী করে এই ফাইল খুলেছেন, এবং তাকে ডেকে কিভাবে ফের চাকরীতে যোগ দিলেন জিজ্ঞাসাবাদও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এরপর ফের ছয় বছর আগের অতসী কাণ্ড চর্চায় উঠে আসে। এদিকে এই অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুর্নীতি বিভাগের ডিএসপি-র সঙ্গে এই প্রতিবেদক মোবাইলে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন হাতে-নোটে যথেষ্ট প্রমান সাপেক্ষে পাকড়াও করা হয়েছে তাই সাজা হবেই।
