গণআওয়াজ প্রতিনিধি : লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এখন রাজ্যে উপনির্বাচনের ডংকা বেজে উঠেছে।
আসামের পাঁচজন বিধায়ক লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন, এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে।
আসনগুলি হচ্ছে হচ্ছে বনগাঁও, বিহালি, চামগুড়ির, ধলাই এবং চিদলি।
বনগাঁও থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ফণিভূষণ চৌধুরী, বিহালি থেকে রঞ্জিত দত্ত, চামগুড়ি থেকে রকিবুল হুসেন, ধলাই পরিমল শুক্লাবৈদ্য এবং চিদলি থেকে সাংসদ হয়েছেন জয়ন্ত বসুমাতারি।
এরমধ্যে চামগুড়ি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নাম উচ্চারিত হচ্ছে রকিবুল হোসেনের ছেলে আসম প্রদেশ এনএসইউ আইর সাধারণ সম্পাদক তানজিল হোসেনের।
পিতা রকিবুল হোসেনও ছেলে তানজিলকে চামগুড়ি থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ধুবরি লোকসভায় রেকর্ড ভোটে বিজয়ী কংগ্রেসের চামগুরির বিধায়ক রকিবুল হোসেনকে বিদায় জানাতে কংগ্রেসের বিধায়নি দলের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই সবুজ সংকেত দেন।
সাংবাদিকদের সম্বোধন করে রকিবুল বলেন, দল চাইলে নিশ্চয় আমার ছেলে চামগুরি থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তাতে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।
সে এনএসআই করছে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ মনিপুরে গিয়েছে তাই দল তাকে প্রার্থী করলে আমার কোন আপত্তি নেই।
রকিবুল বলেন, পিতায় রাজনীতি করলে ছেলে না করার কোন বিধান নেই।
তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ক্রিকেটারের ছেলে যদি ক্রিকেটার হয়, ডাক্তার- ইঞ্জনিয়ারের ছেলে ও মেয়েরা যদি ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হয়, তবে রাজনীতিবিদদের ছেলে-মেয়েরা রাজনীতি কেন করতে পারবে না?
এতে কেউ যদি কারাপ পায় তাতে বলার মত কিছু থাকবে না। উল্লেখ্য যে, চামগুরি বিধানসভা সমষ্টি রকিবুল হোসেনের দুর্গ হিসাবে পরিচিত, তিনি এখান থেকে এক নাগাড়ে পাঁচবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।