গুয়াহাটি : নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা নির্বাচন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
আগামী বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর পঞ্চায়েতের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য সরকার।
এর আগে মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছলেন আগামী নভেম্বর মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হবে এবং শেষ হবে ডিসেম্বর মাসে।
সেই অনুযায়ী আগামী মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর পঞ্চায়েতের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং তার পরেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
নির্বাচন হবে আগের মত ব্যালটের মাধ্যমে।
বিভাগীয় বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হবে, এরজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সীমানা নির্ধারণের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
উল্লেখ্য যে, সমষ্টি পুনর্নির্ধারণের পর পঞ্চায়েতের সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি জরুরি হয়ে উঠেছে।
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে উন্নয়ন খণ্ডগুলিকেও নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে, কারন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রতিটি পঞ্চায়েতে যাতে দুটি বিধানসভা না থাকে।
সেপ্টেম্বরে শুরু হবে পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা সংশোধনীর কাজ। ওয়ার্ড, আঁচালিক পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, গাঁও পঞ্চায়েতগুলির নির্বাচনী এলাকাগুলির পুনর্বিন্যাস করা হবে।
প্রয়োজনে নির্বাচনী এলাকার সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের পরে খালি হওয়া পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য রাজ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে উপনির্বাচন হবে বিধানসভার পুরনো আসন অনুযায়ী।
বঙাইগাঁও, চামগুড়ি, ধলাই, বিহালি এবং চিদলি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভার উপনির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে হতে হবে।
রাজ্যসভার দুটি শূন্য আসনের জন্যও নির্বাচন হবে। তাই উপনির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হবে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ।