মিঠুন বড়ুয়া, মার্গেরিটা : দীর্ঘ ছত্রিশ বছর পর প্রলয়ঙ্করী বন্যায় আবারও মার্গেরিটার খাগড়ি পাথরের মানুষকে শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।
মার্গেরিটার শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বুড়িদিহিং নদীর জলস্প্রীতি রুদ্র রূপ ধারন করায় গ্রামবাসীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
ভিতর পাবৈ গাঁওপঞ্চায়েতের খাগরিপাথরের একটি বড় এলাকার মানুষের বাড়ী-ঘর বন্যার জল গ্রাস করেছে।
প্রাণ বাঁচাতে এলাকার প্রায় আশিটিরও বেশী পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন স্কুলে।
শিবিরে আশ্রিতরা জানিয়েছেন সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও তাদের কাছে কোনো সহযোগিতা পৌঁছেনি।
শিশুদের নিয়ে শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এই হতভাগ্য পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি সমষ্টির বিধায়ক থেকে শুরু করে কোন জনপ্রতিনিধি।
গবাদি পশু এবং ছাগলের জন্য ঘাস বা অন্য কোন খাবারও নেই, কয়ারন মাঠ বলতে খাকড়িপাথরে এখন কিছু নেই।
আছে শুধু বন্যার জল। বহু বছর বন্যার জীবন্ত ঢেউ এমন বিধ্বংসী মোড় নেয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আজ থেকে ছত্রিশ বছর আগে বুড়িদিহিং নদী একবার রুদ্র রূপ নিয়েছিল।
সেই সময় বন্যায় অনেক মানুষ আছে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এর জন্য বিভিন্ন ছাত্রনেতা এবং জনতা স্থানীয় বিধায়ক ভাস্কর শর্মাকেও দায়ী করেছেন।
সমালোচনা বলছেন এই পরিস্থিতে বিধায়কের উচিত ছিল ভুক্তভোগী জনসাধারণের খোঁজখবর নেওয়া।
এদিকে আরও বর্ষণ হলে যে বুড়িদিহিং নদীর জল খাগড়িপাথর এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।