নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : শিলচর সেটেলমেন্ট অফিস যেন ঘুষখোরদের কারখানায় পরিণত হয়েছে।
লম্বা মাইনেও পেট ভরছে না এসব সরকারী আমলাদের।
পাটুয়ারি থেকে শুরু করে আধিকারিক, সবাই যেন সাধারণ মানুষকে লুন্ঠনের লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তদন্ত হলে দেখা যাবে সেটেলমেন্টের কোন কোন পাটুয়ারীর শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকায় নামে বেনামে দশ-বারোটা প্লট রয়েছে।
সাধারণ মানুষের রক্তকে জল করে রোজগার করা টাকা, লুঠে নিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মজাইক পাথর দিয়ে প্রাসাদ বানিয়ে আয়াস করছে।
সেটেলমেন্ট অফিসের এসব কর্মকাণ্ড জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা সহ সবাই জানেন।
কিন্তু কে এসবের তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে? কার সাধ্যি আছে?
কারন এসবে ভাগ রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও।
কোন কেইসে কার কত ভাগ, কোনো কোনো পাটুয়ারীর কাছে জানতে চাইলে নামের লম্বা ফর্দ তুলে ধরেন।
এসব দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসছে।
সাধারণ মানুষ আশা করছিলেন রাজ্যে হয়তো নতুন কোন দলের সরকার আসলে এসব বন্ধ হতে পারে, এছাড়া বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যারা দুর্নীতি করে আসছে তাদের জেলে পুরা হবে।
তাই ২০১৭ সালে রাজ্যে বিজেপিকে এককভাবে ক্ষমতায় আনেন জনগণ।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়ালের নেতৃত্বে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর দেব না, নেবো না সাইনবোর্ড এক আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল।
দুর্নীতি নিবারক শাখা বিভিন্ন সরকারী দফতরে হানা দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারিদের পাকড়াও করা শুরু করে।
এতে সাধারণ মানুষ প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে সব ফিকে হয়ে যায়।
বিজেপির কংগ্রেস মুক্ত ডাকে সব দুর্নীতিগ্রস্তরা কংগ্রেস ত্যাগ আশ্রয় নেয় বিজেপিতে।
এরপর দেব না, নেবো না সাইনবোর্ডও হারিয়ে যায়।
দুর্নীতি নিবারক শাখা যাদেরকে গ্রেফতার করেছিল, তারাও ছাড়া পেয়ে দিব্যি চাকরী করে যাচ্ছে।
এখনও দুর্নীতি নিবারক শাখা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারী দফতরে হানা দিচ্ছে এবং ঘোষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করছে।
কিন্তু সাধারণ মানুষের এগুলোর উপর আর আস্তা নেই। সচেতন মহলের ধারনা এটা ঠগের উপর বাটপাড়ি।
ধরে কিছু টাকা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে, সে এসে পুনরায় চাকরী করবে এবং আরও বেশী করে সাধারণ মানুষে ঘাড়ে কুপ বসাবে।
কর্মচারীরাও ভালো করে জানেন তাদের কিছুই হবে না।
তাই প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতি নিবার শাখার হানা দেওয়ার পর দুর্নীতি বন্ধ হওয়ার কোন নাম নেই, বরং আরও বেড়েছে।
এভাবে কয়েক মাস আগে শিলচর সেটেলমেন্ট অফিসে হানা দিয়ে দুর্নীতি নিবারক শাখা হানা দিয়ে এক পাটুয়ারী গ্রেফতার করে।
কিন্তু দুর্নীতি বন্ধ হয়নি, বরং বেড়েছিল।
আজ আবার দুর্নীতি নিবারক শাখা আরও এক পাটুয়ারী নূরুল হক বড়ভূইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করেছে। জনগণের আশংকা কিছুদিন পর সেও ছুটে আসবে এরপর এই অফিসের দুর্নীতি আরও বাড়বে।