কালাইন প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : বরাক উপত্যকাকে চোরা কারবারিবারা করিডোর করে পাচার বানিজ্য অভ্যাহত রেখেছে।
তাদের আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
বিলাইপুর এবং লায়লাপুরে পুলিশ চেক পোস্ট থাকা সত্বেও বার্মা থেকে মিজোরাম হয়ে অবাদে বরাকের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করছে অবৈধ ড্রাগস, বার্মিজ সুপারি, বার্মিজ সিগারেট সহ অন্যান্য সামগ্রী।
মোটা টাকায় এগুলো পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।
আজ সকালেও এরকমই AS-01 LC 3176 নম্বরের একটি গাড়ী সন্দেহজনক গবাদি পশুর চামড়ার নীচে সিগারেট পাচারের সময় ধরা পড়েছে দিগরখাল চেক গেটে।
সূত্রের খবর অনুসারে, গাড়িটি মিজোরাম থেকে লায়লাপুর হয়ে প্রায় দশ থেকে বারোটি পুলিশ থানা পার হয়ে দিগরখালে গিয়ে পাবলিক ইনফরমেশনে ধরা পড়েছে।
এই ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এসব চোরা কারবারিদের সঙ্গে পুলিশের কোন গোপন আতাত নয় তো?
এরকম প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক।
কারন লায়লাপুরে পুলিশ চেক গেট থাকার পর গাড়িটি কিভাবে কাছাড়ে প্রবেশ করতে পারে? এরপর প্রায় দশ থেকে বারোটি পুলিশ থানা পার হল কি করে? পাবলিক ইনফরমেশন না থাকলে দিগরখাল চেক গেটও হয়তো পার হয়ে যেত!
এরচেয়েও রহস্য জনক ঘটনা হল সরকার অবৈধ চোরা চালানের বিরুদ্ধে একের পর এক এসওপি ঘোষণা করার পরও পুলিশ প্রশাসন কেন এগুলো বন্ধ করতে ব্যর্থ?
তাহলে এসওপি জারির পেছনেও কি অন্য কোন রহস্য রয়েছে? আরও বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন গণআওয়াজ-এর পর্দায়।