মোস্তফা আহমেদ মজুমদার : বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দিতে প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারা আসাম ছাত্র সংস্থা আসু-র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শংকরজ্যোতি বরুয়া।
অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র সংস্থার জেলা কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাইলাকান্দি শহরের সিরাজপট্টির রেল লাইনে বন্ধ রতনপুর পূর্ত সড়ক পরিদর্শন করেন।
গত ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে লোহার পিলার দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ রতনপুর পূর্ত সড়কটি বন্ধ করে যাতায়াতের জন্য প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ইউটার্ন তৈরি করে দেয়।
যেখানে প্রতিদিন ট্রাফিক সমস্যার মুখে পড়তে হয় বৃহত্তর পূর্ব হাইলাকান্দির ছয়টি গাঁও পঞ্চায়েতের ছাত্র ছাত্রী সহ হাজার হাজার মানুষকে।
ছাত্র সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরজমিন পরিদর্শন করে রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
পরে বরুয়া সাংবাদিকদের বলেন, হাইলাকান্দি জেলার ব্যস্ততম রতনপুর পূর্ত সড়ক লোহার পিলার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন বৃহত্তর পূর্ব হাইলাকান্দি এলাকার জনগণ।
এখানে উড়াল সেতু নির্মাণ না করে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে এক কিলোমিটারেরও অধিক লম্বা একটি ইউটার্ন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি জনগণের এই সমস্যা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির দাবি সম্বলিত একখানা স্মারকপত্রও গ্ৰহণ করেছেন।
এব্যাপারে তিনি শীঘ্রই অসমের মুখমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও উত্তর পূর্ব রেলের জিএমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বরাকের বন্যা সমস্যা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অসমের বন্যা সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা।
কিন্তু সরকার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল অসমের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্য সরকারকে একটি বড় প্যাকেজ দিয়ে নদী ভাঙ্গন গুলো নির্মাণ করা।
অসমের বন্যা সমস্যার জন্য তিনি সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই চরম ব্যর্থতায় অসমের মানুষ প্রতি বছরই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা হতে হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদেরকে শীঘ্রই সরকারি ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান সারা আসাম ছাত্র সংস্থা আসু-র সাধারণ সম্পাদক শংকরজ্যোতি বরুয়া।