নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : প্রধানমন্ত্রী আবাস থেকে শুরু করে ফোর্টিন ফাইনান্স এবং ফিফটিন ফাইনান্সে সংগঠিত হয়েছে পুকুর চুরি কাণ্ড।
এই বৃহৎ গ্রামোন্নয়ন দুর্নীতির দায়ভার এড়াতে পারবেন না পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ বিভাগীয় আমলারা।
কিন্তু প্রশাসনের কি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস আছে? কারন সবাই ক্ষমতার অবমাননা করে চাটুকায় ব্যস্ত।
বিধবা আরতি ক্রিস্টিয়ানের নামে ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাসের ঘর বরাদ্ধ হয়।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ঘরের কাজ আরতি ক্রিস্টিয়ানকেই করার কথা, কিন্তু পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং আমলারা কি তা হতে দিতে পারেন?
এতে তাদের পকেটে ভরবে না।
তাই জিপি থেকে আরতি ক্রিস্টিয়ানের ঘর নির্মাণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ৭নং ওয়ার্ডের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী লক্ষীচরন গঞ্জুকে।
গঞ্জু, আরতি ক্রিস্টিয়ানকে দিয়ে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১,২৫০ টাকা তুলে নিলেও আজ পর্যন্ত ঘর আর হয়নি।
অথচ গত ১৪ আগস্ট আরতি ক্রিস্টিয়ানের হাতে ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট তারিখে জিপির ইস্যু করা একটি নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে আসেন লক্ষীচরন।
জিপির ইস্যু করা এই নোটিশে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে পনেরো দিনের মধ্যে টাকার পরিমানে কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে দীর্ঘ এক বছর পর হিতাধিকারি আরতি ক্রিস্টিয়ানের হাতে নোটিশ তুলে দিয়ে কি তার ঘাড়ে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে?
এদিকে লক্ষীচরণকে কেন আজ পর্যন্ত আরতি ক্রিস্টিয়ানের ঘর সম্পূর্ণ হয়নি জানতে চাইলে, তিনি হিতাধিকারির ঘাড়ে দায়ভার চাপানোর চেচতা করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন আগামী পনেরো দিনের মধ্যে ঘর করে দেবেন। উল্লেখ্য যে তার আগে আরতি ক্রিস্টিয়ানের নামে ইন্দিরা আবাসের ঘর বরাদ্ধ হয়, কিন্তু একইভাবে দুর্নীতিবাজ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং আমলাদের জন্য ঘর আর হয়নি।