গণআওয়াজ প্রতিনিধি : হিন্দু মন্দিরগুলিকে সরকার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে দেশব্যাপী জনজাগরণ অভিযান ঘোষণা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
পরিষদের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দে সংবাদ সম্মেলন করে সমস্ত রাজ্য সরকারকে মন্দিরগুলির নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
তিনি সরকারগুলির এই ধরনের কার্যকলাপ হিন্দু সমাজের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেন।
সন্ত সমাজ এবং হিন্দু সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নেতৃত্বে বিশ্বহিন্দু পরিষদ আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাবে বলেও জানান তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় ‘হায়ন্দব শঙ্খরাবম’ নামে লক্ষাধিক মানুষের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
ভিএইচপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দু বিরোধী কাজ যা বন্ধ করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, মন্দিরগুলিকে হিন্দু সমাজের কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল, কিন্তু পরিবর্তে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ভারতের সংবিধানের ১২, ২৫ এবং ২৬ অনুচ্ছেদ উপেক্ষা করে যাচ্ছেন।
পারন্দে প্রশ্ন তুলেন, যখন কোনো মসজিদ বা গির্জা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তাহলে হিন্দুদের প্রতি এই বৈষম্য কেন?
হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও সরকারগুলি মন্দিরের ব্যবস্থাপনা, সম্পত্তি দখল ও বশীভূত করে চলেছে।
তিনি বলেন, মন্দির পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের কাজ হিন্দু সমাজের নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্ষম লোকদের হাতে হস্তান্তর করা উচিত।
পরিষদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, সন্ত সমাজের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে গঠিত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিষয়টি অধ্যয়ন করে একটি খসড়া তৈরি করেছে জানান পারন্দে।