সরুসজাই থেকে প্ৰফুল্ল কুমার দাস, গণআওয়াজ : এক সময় আমি নিজেও চা বিক্রেতা ছিলাম, তাই চা জনগোষ্ঠীর মানুষের সব ধরণের অনুভূতি আমি বুঝতে পারি।
আর এই কারনেই চা সম্প্রদায় চা বিক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
উত্তর-পূর্ব এবং আসামের চা শিল্পের উন্নয়ন আসামকে এক নতুন মাত্রা দেবে।
গৌহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে ঝুমুর বিনন্দিনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদী এভাবেই আসামের চা জনগোষ্ঠীর আদিবাসী সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতি ঝুমুর সংগীত এবং নৃত্যের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে উত্তর-পূর্ব এবং আসামের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।

একই ভাবে উত্তরপূর্ব তথা আসামের কলা সংস্কৃতি এবং শীৰ্ষ ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
বীরপুরুষ লাচিত বরফুকনের চারশ তম জন্ম জয়ন্তী সমগ্ৰ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় ঝাকি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এভাবে আসামের বিহুকে বিশ্ব স্বীকৃতি, চরাইদেও ময়দানকে বিশ্ব স্বীকৃত, কাজিরাঙ্গার স্বীকৃতির পর এবার আদিবাসী চা জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ঝুমুর নৃত্যও স্বীকৃতি পেল।
প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী কারও নাম না নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, এক সময় উত্তরপূর্বাঞ্চল তথা আসাম ঠগ-প্রবঞ্চকদের জন্য সব দিক থেকে বঞ্চিত ছিল।
কিন্তু এই সরকারের সময়ে সব দিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি ২৫১টকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে, বাগান অঞ্চলে দুই শতর বেশী সরকারী বিদ্যালয় নিৰ্মান, সরকারী চাক্রিতে ৩ শতাংশ সংরক্ষণ, আদিবাসী বিদ্ৰোহীদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি, ৮৫০টি বাগানে রাস্তা নিৰ্মাণে ১ কোটি টাকা করে অর্থ বরাদ্ধ, শহীদ দয়াল দাস পানিকা প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার যুবক-যুবতীকে ২৫,০০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিটি বাগানে মালতী ওরাং-এর নামে ১৫ লক্ষ টাকা করে অনুদানে সাংস্কৃতিক মঞ্চ নিৰ্মান এবং গৰ্ভবতী মহিলাকে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসামের চা বাগানের চা পাতা কেবল অসমীয়া জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেনি, অসমীয়া ভাষাকে ধ্ৰুপদী ভাষার স্বীকৃতি প্ৰদানে এখন অসমীয়া জাতিকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
এর আগে বড়ঝার বিমান বন্দরে প্ৰধানমন্ত্ৰীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাজ্যপাল ড০ লক্ষণ প্ৰসাদ আচাৰ্য, মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্ৰী-বিধায়ক ও দলের শীর্ষনেতা।