সুপ্রিয় পাল ও তাপস পাল-এর প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নমূলক কাজের গতিও বেড়ে চলেছে।
সোমবার রামকৃষ্ণনগর সমষ্টির চেরাগী জিপির কিশোরীপুর গ্রামে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দূর্গামণ্ডপের কমিউনিটি হল ও নির্মাণকাজের শুভ শিলান্যাস করেন বিধায়ক বিজয় মালাকার।
পরে এক জনসভায় বিজয় বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শাসনামলে রামকৃষ্ণ নগর সমষ্টির কোন জিপি উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থাকবেনা।
তিনি বলেন, সত্তর বছরে যেসব কাজ হয়নি, মাত্র ছয় বছরেই নুতন ও পুরাতন কাজ সমতালে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কারন এখন চলছে পরিবর্তনের সরকার, কয়েক বছরের মধ্যে রামকৃষ্ণ নগরে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
এই বিকাশমূলক কাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার জন্যই সম্ভব হচ্ছে।
এদিন তিনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপস্থিত ছিলেন বিজেপি দুল্লভছড়া মন্ডল সভাপতি চন্দন ভর, বিশিষ্ট নাগরিক সহ দলীয় কার্যকর্তাবৃন্দ।
এদিন চেরাগী জিপির কিশোরীপুর দূর্গামণ্ডপের শিলান্যাস করেন বিধায়ক বিজয়। সেই সময় উত্তরাখণ্ডে নিহত তেরাছড়া গ্রামের সন্তুষ দাসের মৃতদেহ বাড়িতে এসেছে খবর আসে।
এই খবর পেয়ে বিধায়ক অনুষ্ঠান স্থল থেকে তেরাছড়া গ্রামের সন্তুষের বাড়িতে ছুটে যান এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, সন্তুষ হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত উত্তরাখণ্ডে রেলের অধিনে ও লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো এল এন্ড টি লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিল।
গত ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) মথুরা ঘাটে বারুণী মেলায় স্থান করে জঙ্গল হয়ে কোম্পানির কেম্পে ফেরার সময় মুচড়ে ২০০ মিটার উচু পাহাড় থেকে গঙ্গা নদীতে ছিটকে পড়ায় জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
আজ রামকৃষ্ণনগরের বিধায়ক বিজয় মালাকারের তৎপরতায় মৃতদেহ তেড়াছড়া গ্রামের তার বাড়িতে পৌঁছে। এদিন, শত শত লোকের সমাগমে তার শেষকৃত সম্পন্ন করা হয়।