নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পর্যটকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
বুধবার মহারাষ্ট্রের দুই মহিলা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তিক্ত স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন।
তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু লোক আমাদের ফ্লাইট বুক করতে বাধ্য করেছে এবং পরে আবার ফিরে আসতে বলেছে।
তবে যা ঘটেছে তা ভয়াবহ ছিল, কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমরা পহেলগাম ত্যাগ করছি কিন্তু আমরা কাশ্মীর ত্যাগ করছি না এনডিটিভিকে জানান এক মহিলা।
দ্বিতীয় মহিলা বলেন, তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।
তারা সর্বদা আমাদের সাহায্য করেছে বলে জানান ওই মহিলা।
মহিলা বলেন, আমাদের ড্রাইভার যিনি ছিলেন তিনি শুরু থেকেই আমাদের সাথে ছিলেন এবং হোটেলে নামানোর আগে পর্যন্ত কখনও আমাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করেননি।
হামলার পর তিনি তার নিরাপত্তার কথা ভাবেননি বরং আমাদের নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। ওই মহিলার বলেন, আমরা ভ্রমণ চালিয়ে যাব, কারণ এই জায়গাটি খুবই সুন্দর।
তিনি বেশ কয়েকজন বেঁচে যাওয়া পর্যটকের দাবির কথা উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা নিহতদের হত্যা করার আগে তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিল।
মঙ্গলবার পাহালগামে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় মহারাষ্ট্রের ছয়জনসহ ২৬ জন নিহত হয়ন, যা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মধ্যে একটি।
এই মন্ত্রাসী হামলাটি হয় বৈসরানে, যাকে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়।
কারণ এর তৃণভূমি ছিল, শুধুমাত্র হেঁটে বা টাট্টুতে করে যাওয়া যায়, যেখানে মঙ্গলবার সকালে পর্যটকদের একটি দল বেড়াতে গিয়েছিল।
নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি ছায়া গোষ্ঠী, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর উচ্চ সতর্কতার মধ্যে শ্রীনগরে ডাল লেকে নিরাপত্তা কর্মীরা টহল দিচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে পৌঁছেন এবং বুধবার হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং বেঁচে থাকা অন্যান্যদের সাথে কথা বলেন।
জাতীয় তদন্ত সংস্থার একটি দলও পাহালগামে স্থানীয় পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করার জন্য পৌঁছেছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তির স্কেচ প্রকাশ করেছে। পর্যটন ও ট্রেকিং মরশুম যখন গতি পাচ্ছে তখন এই হামলাটি ঘটেছে।