আগরতলা, ৪ নভেম্বর : ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিপাহিজেলা জেলা থেকে চারজন কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন বিজেপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তিনজন কংগ্রেস কর্মী আহত হন।
বুধবার বিকেলে সিপাহিজেলার রাউতখোলায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি সমর্থকদের আক্রমনে কংগ্রেস কর্মীরা হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় আহত তিন কংগ্রেস কর্মীর মধ্যে সিকন্দর মিয়াকে জিবিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তিনি এখনও চিকিৎসাধীন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কংগ্রেস সমর্থকদের একটি দল রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের উপর হামলা চালায়, এতে তাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির।
কংগ্রেস দাবি করেছে যে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার কিছুক্ষণ পরেই শাসক দলের সশস্ত্র কর্মীরা বিরোধীদের তাড়িয়ে দেয়।
নিরাপত্তা কর্মীরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং বাতাসে গুলি ছুড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।
বিশালগড় থানার ওসি বাদল চন্দ্র দাস বলেছেন, জনসাধারণ ও পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার জন্য ১৭ জন কংগ্রেস সমর্থকের বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এফআইআর-এ ১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রউথখোলা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রশাসন ১৪৪ সিআরপিসি ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছে।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি বিরজিত সিনহা রাউতখোলায় কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালায়।
কিন্তু এটা খুবই বেদনাদায়ক যে পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অপরাধীদের প্রতি নম্রতা দেখিয়েছে।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী সিপিআইএম কংগ্রেস অফিস এবং তাদের দলের সমর্থকদের উপর বিজেপি গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ এনে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সিপিআইএম নেতা পার্থ প্রতিম মজুমদার বলেছেন, গত সাড়ে চার বছর ধরে ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএমকে টার্গেট করেছে। কিন্তু এবার কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলা শুরু করেছে বিজেপি। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কংগ্রেসকে নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দেব।