ডিসিকে স্মারকপত্র, বন্যার্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার দাবি কংগ্রেসের
হাইলাকান্দির থেকে মোস্তাফা এ মজুমদারের রিপোর্ট, ২১ জুন, মঙ্গলবার : টানা দুদিনের ভারী বর্ষণে হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন নীচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে কৃত্রিম বন্যার রূপ নিয়েছে। জেলার খাল বিল নালা নর্দমা বৃষ্টির জলে ভরপুর হয়েছে। গ্ৰামের পর গ্ৰাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ত্রাণের জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ উচুঁ স্থানে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলার পূর্ব হাইলাকান্দি এলাকায় বন্যা সংহারী রূপ ধারণ করছে। বিভিন্ন স্থানে কাটাখাল নদীর বাঁধ ভেঙে জেলার নতুন নতুন বিভিন্ন এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার সকালে গোদামঘাট এবং মোহনপুরে নতুনভাবে দুটি স্থানে ইএন্ডি বাঁধ ভেঙ্গে নদীর জল ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে পূর্ব হাইলাকান্দির বড়হাইলাকান্দি,মাটিজুরী, কালাছড়া, নিমাইচান্দপুর, নিতানান্দপুর,ভজন্তিপুর, রতনপুর,মোহনপুর, নারাইনপুর,নিতাইনগর,পূর্ব সোনাপুর, বর্ণীব্রীজ, বাহাদুরপুর,ব্রজপুর ইত্যাদি গ্ৰাম জলমগ্ন হয়েছে।
এদিকে জেলার ধলেশ্বরী নদী ভয়াবহ রূপ নিলে পাঁচগ্ৰামের ধলেশ্বর পয়েন্টে জাতীয় সড়কের পাশে বাঁধ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাইলাকান্দি, লালা ও আলগাপুর রাজস্ব চক্রের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়ায় সর্বত্রই এক হাহাকারজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাতের পর সোমবার পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি,বরঞ্চ নতুন নতুন স্থানে ইএন্ডি বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার জল ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন সড়কে বন্যার জল উঠে পড়ায় জেলা সদর সহ অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কাটাখাল নদীর জল বিপদসীমার উপরে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা ফেরী সেবা বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে জেলার আশ্রয় শিবিরে থাকা বন্যার্তদেরকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, উদ্ধার কার্যের জন্য লঞ্ছ বৃদ্ধি করা, গবাদিপশুর খাদ্য ও স্থানে স্থানে সংকটজনক অবস্থায় থাকা নদী বাঁধগুলো শীঘ্রই প্রটেকশন দেওয়া সহ পরবর্তী বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। এনিয়ে সোমবার হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগ, যুব কংগ্রেস, সেবাদল ও এনএসইউআইর পক্ষ থেকে হাইলাকান্দির জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্র তুলে দেন কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মীরা, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া,যুব কংগ্রেসের সভাপতি সহিদুল ইসলাম বড়ভূইয়া,সেবাদলের বাহার উদ্দিন, এনএসইউআইর সভাপতি আব্দুল আহাদ বড়ভূইয়া ও সোসিয়াল মিডিয়ার চেয়ারম্যান প্রীতম দাশ প্রমুখ।