ব্যুরো রিপোর্ট : বরাক সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পৃথকীকরণে পরোক্ষ সমর্থন অভিনন্দন জানিয়েছে বিডিএফ।
বরাক সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন জনগণ চাইলে তাঁর আপত্তি নেই, তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি চান এই উপত্যাকা আসামের সাথেই থাকুক।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় আজ বলেছেন, ডিলিমিটেশন করে বরাকের ৪২ লক্ষ লোকের জন্য ১৩টি বিধানসভা আসন ২৪ লক্ষের বোড়োল্যান্ডের ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হয়েছে।
এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিডিএফ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বনধে বরাকবাসী স্বতস্ফুর্ত সমর্থন জানিয়েছেন।
তাই পৃথকীকরণের দাবিতেও জনগনের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত বলে জানান বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্টীকরণের জন্য পাঁচটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কিন্তু এ ব্যাপারে কোন জবাব দেননি।
আসামে এক লাখ সরকারি চাকরীর মধ্যে বরাক থেকে এক হাজারও নিযুক্তি না দেওয়ার যে খবর ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরবতায় সেটাই প্রমান হয়েছে দাবী করেন দত্তরায়।
এছাড়া রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বাঙ্গালির মাতৃভাষাকে সরকারি সহযোগী ভাষার মর্যাদা এবং শিলচর রেলওয়ে স্টেশনকে কেন কেন ভাষা শহিদ নামকরণকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছেনা এব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী কোন জবাব দেননি।
এদিন ডিলিমিটেশন নিয়ে বরাকবাসী খুবই খুশি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য।
জয়দীপ বলেছেন যদি তাইই হয় তবে প্রতিবাদে বিডিএফ সহ অন্যান্য দলের ডাকা বরাক বনধ সফল হল কি করে?
কেন বিভিন্ন দল সংগঠন প্রতিবাদী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে? এমনকি বিজেপির কাছাড় জেলা সভাপতির ছেলেও এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন বলেও জানান জয়দীপ। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পৃথক রাজ্যের ইস্তেহার ও প্রচার পুস্তিকা জনগনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান জয়দীপ।