লক্ষীপুর, ৮ অক্টোবর : দূর্গাপুজোর পূর্বে বোনাস পেয়েছেন, কিন্তু তাদের অনেক ন্যায্য পাওনা বকেয়া রয়েছে। পাওনা বকেয়ার আংশিক অর্থ গতকাল শুক্রবার দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাগান ম্যানেজার চয়ন দে।
কিন্তু দেননি, আজ শনিবারও তাদের পাওনা অর্থ মিটিয়ে না দেওয়ায় এক ভয়াবহ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পালোরবন্দ চা বাগানে।
শনিবার সকাল অনুমান ন’টা থেকে চারটি ডিভিশন সহ মূল বাগানের শ্রমিকরা সমবেত হতে থাকেন পালোরবন্দ চা বাগানের ম্যানেজারের কার্যালয়ে।
সহস্রাধিক শ্রমিক জমায়েত হয়ে প্রতিশ্রুতি মত তাদের পাওনা বকেয়া অর্থের এক সপ্তাহের মজুরি দিতে দাবি করেন ম্যানেজারের কাছে।
ম্যানেজার চয়ন দে জানান তিনি আজ টাকা দিতে পারবেন না। এনিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়। সহস্রাধিক শ্রমিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তারা ম্যানেজারের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এক সময় ম্যানেজারের কার্যালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। অবশেষে কার্যালয়ের দরজা জানালা বন্ধ করে ম্যানেজার ভিতরে থেকে নিজেকে রক্ষা করেন।
খবর পেয়ে প্রথমে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বাশকান্দি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ নফিসুর রহমান, লক্ষীপুর থানার ওসি রাজেশ কুমার দাস, লক্ষীপুরের এসডিপিও দীনেশ কুমার।
তারা এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতিদের নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর বাগান ম্যানেজার চয়ন দে আগামীকাল রবিবার বিকেলের মধ্যে প্রতিশ্রুতি মত সাত দিনের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এতে পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে রবিবার শ্রমিকদের বকেয়া না দিলে পরিস্তিতি আরও অগ্নিগর্ভ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।