সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া ২৪ অক্টোবর : রাতাবাড়ি বিধানসভার আওলআলা গ্রামের সেনা জওয়ান।
গত ২১ তারিখ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অন্য চারজনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হাবিলদার পদে থাকা বীরেশ সিনহা (৪২) শহীদ হয়েছেন।
জানা যায় ভারতের অরুনাচল সীমান্তে একমাস থেকে সেনা মহরা চলছে। সেই আপার সীমান্তে যাওয়ার লক্ষে পাঁচজনের একটি দল রওয়ানা দেন, কিন্তু কপ্টারের দুর্ঘটনায় সেনা বাহিনীর জোওয়ানরা শহীদ হন।
শহীদ বীরেশ সিনহার পারিবারিক সুত্রে জানায়, বীরেশ সিনহার পিতা বাবুলোক সিনহা একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা অফিসার, মাতা পঞ্চমসেনা সিনহা সহ পাঁচ ভাই ও এক বোন রয়েছেন।
এর মধ্যে ২ জন সেনাকর্মী ও অন্যরা স্কুল শিক্ষকতায় কর্মরত। বীরেশ ভাইদের মধ্যে ৪র্থ।
শহিদ সেনা জওয়ানের মরদেহ যোরহাট থেকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে মাসিমপুর সেনা ছাউনিতে নিয়ে আসার পর সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান সেনাবাহিনীর আধিকারিক ও জওয়ানরা।
খবরটি চাউর হতেই করিমগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাশক রিন্টু বরা, পুলিশ সুপার জেমস মঙ্গাতে ও সার্কেল অফিসার সতীশ প্রসাদ গুপ্তা শহিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শহীদ বীরেশ সিনহার এক পুত্র বিমান সিনহা (১২) ও কন্যা মেঘা সিনহা (৭) গৌহাটী আর্মি স্কুলে সপ্তম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠরত।
তাঁর প্রয়ানে স্ত্রী মিতালী সিনহা গৌহাটী থেকে নিজ বাড়ি আওলআলা গ্রামে চলে আসেন। কাজিরবাজার থেকে বিশাল বাইক র্যালির মাধ্যমে পথ পরিক্রমার পর শহিদ সেনাজোয়ান বীরেশের মরদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড ও অর্নার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বুকভরা কষ্ট নিয়েও দেশ সেবার জন্য শহীদ হওয়াতে গর্ববোধ করেন।
রাতাবাড়ি বিধায়ক বিজয় মালাকার মাদ্রাজে চিকিৎসাধীন থাকাতে তাঁর প্রতিনিধি শহীদ সেনা জওয়ানের বাড়ীতে পাঠিয়ে শোর্কাত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। সেনা জোয়ান বীরেশ সিনহার অকাল প্রয়ানে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।