শিলচর, ২৬ অক্টোবর : বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় অগ্রনী সেনানী প্রদীপ দত্তরায়কে ‘গর্বের বাঙালি’ হিসেবে সম্মাননা দেওয়ার ব্যাপারে সুশীল সমাজ শিরোনামে একটি সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলন করে ১৯৬১-র ভাষা আন্দোলনে যেহেতু প্রদীপ দত্তরায়ের কোন ভূমিকা ছিলনা তাই তাঁকে ‘ভাষা সেনানী’ বলা উচিত নয়।
এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ইউনিয়ন টেরিটরি ডিমান্ড কমিটির সভাপতি এবং সেদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সঞ্জীব দেবনাথ।
সঞ্জীব দেবনাথ বলেন যে উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার সংগ্রামে প্রদীপ দত্তরায়ের ভূমিকাকে খাটো করার কোন উদ্দেশ্য তাদের ছিলনা এবং সবাই তাঁর প্রতিবাদী ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।
সঞ্জীব দেবনাথ আরো বলেন ভুলবশত এই তথ্য খেয়াল ছিলনা যে ১৯৮৬ এর আন্দোলনে প্রদীপ দত্তরায়ের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আকসার সভাপতি হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে সেদিন ২৪ ঘন্টার বরাক বন্ধ ডাকা হয়েছিল এবং করিমগঞ্জে অবস্থানরত তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহান্তের উদ্দেশ্যে প্রতিবাদী মিছিলে আকসার সদস্যরা অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই সেই হিসেবে তাঁকে ‘ভাষা সেনানী’ বলা যেতেই পারে।
সঞ্জীব বাবু বলেন যে বিগত দু, তিন বছর ধরে বরাক তথা বাঙালিদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠ হিসেবে প্রদীপ বাবু যে ভূমিকা পালন করছেন তাতে তাকে সবার সম্মান জানানো উচিত। শুধু ‘ভাষা সেনানী’ বলে নয় সামগ্রিক ভাবে আরো বৃহত্তর সম্মাননা তার প্রাপ্য। তাই অবিলম্বে সবার কাছে এই অহেতুক বিতর্কের অবসান করার আবেদন জানান সঞ্জীব দেবনাথ।