শিলচর,৩১ অক্টোবর : শিলচর মেহেরপুরের জীবন জ্যোতি হেলথ কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেডের তৃতীয় তলায় একটি নিউ মডার্নাইজড ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ডাঃ অরুণ কুমার সিপানি ও জয়ন্তী দেবী গুলগুলিয়া।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের সাংসদ তথা জেজেআইএমএসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ রাজদীপ রায়, সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অভিজিৎ দাস, সিইও প্রেম কিরণ নাথ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ রাজদীপ রায় জীবন জ্যোতি হাসপাতাল এই অঞ্চলের জনগণকে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে চায় বলে জানান। এখানে সুবিধাযুক্ত ও সুসজ্জিত আইসিইউ স্থাপন এর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০০২ সালে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চারটি শয্যা নিয়ে প্রথম আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন শিলচর মেডিক্যালে ২৭০ টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জীবন জ্যোতি হাসপাতালও। এখানে সুপার স্পেশালিটি বিভাগ রয়েছে। জীবন জ্যোতি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার অত্যাধুনিক সুবিধার উন্নতির জন্য নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডাঃ রাজদীপ বলেন, সদ্য উদ্বোধন হওয়া আইসিইউতে ২৭০ ডিগ্রি গ্লাস এনভাল্পের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাকৃতিক আলো রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
আইসিইউতে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের একটি অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। আর এটি আইসিইউর অনন্য পয়েন্ট। এদিন বক্তব্যে তিনি জীবন জ্যোতি হাসপাতালের টিমওয়ার্ক এবং প্রতিনিধি দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
রাজদীপ বলেন, জীবনজ্যোতি হাসপাতালে একসাথে কাজ করা অপরিহার্য। টিমওয়ার্ককে গুরুত্ব দিতে হবে।
কন্সট্রাকশন ডিরেক্টর সজল দেবনাথ এবং ফিনান্সিয়াল ডিরেক্টর স্বরূপ সিনহার বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরো দলই কঠোর পরিশ্রম করেছে।
তাঁর কথায়, এই হাসপাতালে উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতের বৃহত্তম আইসিইউ শয্যা রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম।
ডাঃ অরুণ কুমার সিপানি বলেন, জীবন জ্যোতি হাসপাতাল আগামী দিনে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জীবনজ্যোতি হাসপাতাল ভবিষ্যতে উৎকর্ষ কেন্দ্র হবে। তিনি বলেন, দক্ষ চিকিৎসক ও সার্জনের অভাবে নয়, উপযুক্ত পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে মানুষ বাইরে যান।
ডাক্তার, সার্জন, নার্স এবং কর্মীরা কেউ অযোগ্য নন। প্রেম কিরণ নাথ বলেন, আজ জীবন জ্যোতি হাসপাতালের জন্য ঐতিহাসিক দিন। গুরুতর অসুস্থ রোগীরা এখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন।
মানুষকে আর অন্য রাজ্যে যেতে হবে না। আইসিইউ কমপ্লেক্সে দুটি সিসিইউ আইসোলেশন সহ ১৫টি সিসিইউ, দুটি এইচডিইউ আইসোলেশন সহ ১৪টি এইচডিইউ, পাঁচটি এসআইটিইউ, দুটি আইসিসিইউ আইসোলেশন সহ নয়টি আইসিসিইউ এবং একটি ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে।
এর পাশাপাশি রয়েছে ছয় শয্যা বিশিষ্ট এনআইসিইউ। মোট ৬৩টির মধ্যে ৫৬টি শয্যা চালু রয়েছে। ডাঃ ভিজিৎ দাস বলেন, আজকের দিন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
আমার মনে আছে এসএমসিএইচ এবং ভ্যালি হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের জন্য সেটআপ প্রস্তুত করা। আজ আমি এখানে জীবন জ্যোতিতে সম্মানিত বোধ করছি। এদিন জয়ন্তী দেবী গুলগুলিয়া শুভ অনুষ্ঠানে একটি ‘শ্লোক’ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে স্বরূপ সিনহা ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন।