শিলচর, ৩১ অক্টোবর : শিলচর ঘনিয়ালার হজরত পীর মখাশাহ মোকামের নথিপত্র ও তহবিল প্রাক্তন সম্পাদককে হস্তান্তরের আহ্বান জানালো হজরত পীর মখাশাহ মোকাম ট্রাস্ট কমিটি।
অন্যাথায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হজরত পীর মখাশাহ মোকাম ট্রাস্ট কমিটির সভাপতি সমছুর উদ্দিন লস্কর।
তিনি এক বিবৃতিতে জানান যে, মখাশাহ মোকামের ব্যাপারে প্রাক্তন সম্পাদক মশরফ হোসেন লস্কর তাদের অপরাধজনিত অর্থনৈতিক কারচুপির কথা এবং আদালতের নির্দেশনার তথ্যসমূহ গোপন করে যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তা অতিরঞ্জিত ও ভিত্তিহীন।
তিনি জানান, গত ২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রাক্তন সম্পাদক মশরফ হোসেন লস্কর মোকামের ভক্তদের প্রতারনা করার উদ্দেশ্যে বিনা এজেণ্ডায় সাধারণ সভা আহ্বান করেছিলেন।
এছাড়া মোকাম কমিটির প্রাক্তন কর্মকর্তারা বিগত ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত
তাদের কার্যকালে ৬২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৩৭ টাকার হিসাব পত্র ধামাচাপা দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তী সময়ে এর যথার্থ অডিট করে সাধারণ সভায় স্পষ্টভাবে হিসাবপত্র প্রদর্শিত করবেন বলে কথা দিয়াছিলেন।
এদিকে বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় প্রাক্তন সম্পাদক মশারফ হোসেন লস্কর ও অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন মরহুম আসমান আলী বড়ভূঁইয়া।
এরফলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার উক্ত টাকার অস্পষ্ট ও ধামাছাপার অডিট রিপোর্ট জব্দ করেন। বর্তমান সিজেএম আদালতে মামলা বিচারাধীন।
এদিকে ২০১১-২০১২ সালে মোকামের ওয়াটার প্লান্টের জন্য সাংসদ তহবিলের পাঁচ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছিল, কিন্তু মোকামের প্রাক্তন সম্পাদক ওই টাকার হিসাব পত্র না দিয়ে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা নিমার্ণ কাজে খরচ হয়েছে বলে কৌশলে পাঁচ লক্ষ টাকা মোকামের তহবিল থেকে আত্মসাৎ করেছেন।
পুলিশ উক্ত হিসাবপত্র জব্দ করেছে এবং তা বর্তমানে আদালতের জিম্মায় রয়েছে।
এছাড়া আদালতের চূড়ান্ত আদেশে স্পষ্টভাবে মোকামের দানপত্র সমূহের চাবি সহ নথিপত্র হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন সম্পাদক সেগুলো হস্তান্তর করেন নি।
আদালতের আদেশে মোকামের ইমাম ১২টি দানবাক্সের চাবি পুলিশের মাধ্যমে সমঝে নিয়েছেন। কিন্তু বিগত এক বছর থেকে মোকামের সন্দুকের থাকা তহবিল ও ২টি আলমারির নথিপত্র ইত্যাদি এখনও পর্যন্ত হস্তান্তর করেন নি।
এদিকে ভক্তগণের সাধারণ সভায় মোকামের একান্ত স্বার্থ, ভবিষ্যতের উন্নয়নে ও অনাথ শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করে একটি ট্রাস্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্ট কমিটির কাছে শীঘ্রই কমিটির পূর্ববর্তী কর্মকর্তারা মোকামের নথিপত্র ও তহবিল ইত্যাদি হস্তান্তর না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।